দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। যদিও ছোট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চাপ নিয়ে খেলার ‘বাজে’ অভ্যাস আছে টাইগারদের, যেটা মাঝে মধ্যে অঘটনের মুখে ঠেলে দেয়। আমিরাতের বিপক্ষে তেমন কিছু হওয়ার শঙ্কা কম। কারণ এই দলটির বিপক্ষে খেলা বিগত তিন ম্যাচই জিতেছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই আজ শারজাহ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া প্রথম টি২০ ম্যাচে জয়ের ধারাবাহিকতা রাখতে চাইবে লিটন বাহিনী।

এ পর্যন্ত আমিরাতের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ এবং সবগুলোতেই পেয়েছে জয়। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী একাদশ নিয়ে মাঠে নামতে চান অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। ওপেনিংয়ে নিজেই ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করবেন লিটন। তার সঙ্গে ইনিংসের সূচনা করতে পারেন তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম। ওয়ানডাউনে খেলবেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

চতুর্থ স্থানে থাকবেন তাওহিদ হৃদয়। পঞ্চম পজিশনে দেখা যেতে পারে শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে। ফিনিশারের ভূমিকায় থাকবেন জাকের আলী অনিক। এছাড়া ব্যাটিং লাইনআপে থাকতে পারেন সৌম্য সরকার ও তরুণ পেস অলরাউন্ডার তানজিম হাসান।

আমিরাতের কন্ডিশনে বেশি পেসার না খেলিয়ে স্পিন-ভিত্তিক বোলিং আক্রমণের দিকেই ঝুঁকতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। তিন পেসার খেললে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে দেখা যেতে পারে তানজিম সাকিব এবং শরিফুল ইসলাম বা নাহিদ রানার একজনকে। স্পিন বিভাগে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের সঙ্গে থাকবেন অফস্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। যদি দুজন পেসার খেলে, তাহলে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম জায়গা পেতে পারেন একাদশে।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সুরা নাস: বাংলা অর্থসহ এবং সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

সুরা নাস কুরআনের ১১৪তম এবং শেষ সুরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ বলে মাক্কী সুরা নামে পরিচিত। এতে মোট ৬টি আয়াত রয়েছে। এই সুরাটি মানুষকে শয়তানের প্রতারণা ও মন্দ প্রভাব থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে শেখায়। এটি ‘মু’আওয়িযাতাইন’ (দুটি আশ্রয়প্রার্থী সুরা: সুরা ফালাক ও সুরা নাস)–এর একটি।

সুরা নাসের বাংলা উচ্চারণ, অর্থ এবং সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা আলোচনা করা হলো।

বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ

উচ্চারণ: কুল আউজু বিরাব্বিন নাস। মালিকিন নাস। ইলাহিন নাস। মিন শাররিল ওয়াসওয়াসিল খান্নাস। আল্লাজি ইউওয়াসউইসু ফি সুদুরিন নাস। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান নাস।

অর্থ: বলো, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করি মানুষের রবের কাছে। মানুষের অধিপতির কাছে। মানুষের উপাস্যের কাছে। মন্দ প্রবৃত্তির কুমন্ত্রণা থেকে, যে পিছনে লুকায়। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে। জিন ও মানুষের মধ্য থেকে।

আরও পড়ুনসুরা ফাতিহার বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪সুরা নাসের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

সুরা নাস মানুষকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে শিক্ষা দেয়। এই সুরায় আল্লাহকে তিনটি গুণে সম্বোধন করা হয়েছে:

রব্বিন নাস (মানুষের রব): আল্লাহ মানুষের সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা।

মালিকিন নাস (মানুষের অধিপতি): তিনি মানুষের উপর সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী।

ইলাহিন নাস (মানুষের উপাস্য): তিনিই একমাত্র উপাসনার যোগ্য।

সুরাটি শয়তানের মন্দ প্রভাব থেকে সুরক্ষা প্রার্থনায় জোর দেয়। কেননা, শয়তান ‘ওয়াসওয়াস’ (কুমন্ত্রণা) দেয় এবং ‘খান্নাস’ (পিছনে লুকিয়ে থাকে)। এই কুমন্ত্রণা জিন ও মানুষ উভয়ের থেকে আসতে পারে, যা মানুষের অন্তরে মন্দ চিন্তা ও পাপের প্রতি প্ররোচিত করে।

হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক এবং সুরা নাস পড়তেন, হাতে ফুঁ দিয়ে শরীরে মুছে নিতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০১৭)

বোঝা যায়, সুরা নাস পড়া শয়তানের প্রভাব ও অন্যান্য ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়।

আরও পড়ুনসুরা কাহাফের ৪ কাহিনিতে সফলতার ৪ শিক্ষা২০ জুলাই ২০২৫সুরা নাসের ফজিলত

সুরা নাসের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত আছে, নবীজি (সা.)–কে যখন জাদু করা হয়, তখন সুরা ফালাক ও সুরা নাস নাজিল হয় এবং তিনি এই দুই সুরা পড়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন এবং আরোগ্য লাভ করেন। (সুনান নাসাঈ, হাদিস: ৫৪৩৭)

এই সুরা পড়া শয়তানের কুমন্ত্রণা, জাদু, হিংসা এবং অন্যান্য ক্ষতি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। তাফসিরে ইবনে কাসিরে বলা হয়েছে, “সুরা নাস মানুষকে শয়তানের মানসিক ও আধ্যাত্মিক আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।” (তাফসির ইবনে কাসির, পৃষ্ঠা: ৮/৫৩৬, দারুস সালাম প্রকাশনী, ২০০০)।

সুরা নাস একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ সুরা, যা মানুষকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনার মাধ্যমে শয়তানের মন্দ প্রভাব থেকে রক্ষা করে। আধুনিক জীবনে, যখন আমরা প্রতিনিয়ত নানা প্রলোভন ও মানসিক চাপের মুখোমুখি হই, তখন এই সুরা আমাদের ঈমানকে দৃঢ় করতে পারে। এই সুরা নিয়মিত পাঠ, বিশেষ করে সকাল-সন্ধ্যায় এবং ঘুমানোর আগে, মুমিনের জীবনে শান্তি ও সুরক্ষা নিয়ে আসে।

আরও পড়ুনসুরা আর-রহমান: সারকথা ও ফজিলত০৮ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ