এনবিআর বিলুপ্তির প্রতিবাদে আজ তৃতীয় দিনেও চলছে কলমবিরতি
Published: 17th, May 2025 GMT
আজও চলছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলমবিরতি। আজ শনিবার তৃতীয় দিনের মতো চলছে এই কর্মসূচি। ফলে দেশের আমদানি বাণিজ্যসহ রাজস্ব খাতের কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত হচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোরের বেনাপোলসহ দেশের প্রায় সব কাস্টম হাউসের পাশাপাশি শুল্ক-কর কার্যালয়গুলোতেও তেমন কোনো কার্যক্রম চলছে না। বাড়ছে আমদানি-সংক্রান্ত ব্যবসা-বাণিজ্যের ভোগান্তি।
সকাল থেকে ঢাকা কাস্টমস হাউসে কোনো কাজ চলছে না। এ ছাড়া রাজধানীর অন্য ভ্যাট ও কর কার্যালয়েও তেমন কাজ হচ্ছে না। তবে অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিসে এসেছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রাজস্ব খাতে কলমবিরতি কর্মসূচি চলছে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবারের ধারাবাহিকতায় আজ তৃতীয় দিনে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কলমবিরতি পালিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ঈদের ছুটি সমন্বয় করতে সরকারি নির্দেশে আজ শনিবার সব কার্যালয় খোলা। ফলে কলমবিরতি আজও চলছে।
আজ কলমবিরতির শেষ দিন। বিকেলে তিনটায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।
আজ সকাল সোয়া দশটায় ঢাকা কাস্টমস হাউসের একাংশ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর চকবাজারে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মোর্শেদ আলম তানিম (১৮)। আজ বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি আরমানিটোলার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের প্রথম আলোকে বলেন, গত সোমবার রাতে চকবাজারের মাক্কু শাহ মাজার এলাকায় মোর্শেদ আলম মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় ছিনতাইকারীরা তাঁর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তবে মুঠোফোনটি নিতে পারেনি। তবে তারা পালিয়ে যায়।
মোর্শেদ আলমের বাবা ফিরোজ আলম বলেন, তাঁরা থাকেন আরমানিটোলা এলাকায়। ঘটনার দিন রাতে মোর্শেদ আলম বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে মাক্কু শাহ মাজার এলাকায় যান। বাসায় ফেরার পথে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন মোর্শেদ আলম। এ সময় ছিনতাইকারীরা তাঁকে ছুরিকাঘাতের পর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে বন্ধুরা তাঁকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই দিন রাতেই তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর অবস্থার অবনতি হলে আবারও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।