লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে গরু বাচাঁতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের দুলালী হাড়িখোওয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন- দুলালী হাড়িখোওয়া গ্রামের কমলা বেগম (৬০) ও তার ছেলে জামাল হোসেন (২৮)। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৯টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ির একটি গরু গোয়ালঘরে ঢুকে পড়ে। সেখানে আগে থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চার্জে দেওয়া ছিল। গরুটি অটোরিকশায় ধাক্কা খেয়ে প্রথমে বিদ্যুতায়িত হয়। 
গরুটিকে বাঁচাতে জামাল হোসেন এগিয়ে গেলে তিনি বিদ্যুতায়িত হন। তার চিৎকার শুনে মা কমলা বেগম এগিয়ে এলে বিদ্যুতায়িত হন তিনিও। বিষয়টি টের পেয়ে জামালের বোন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার আগেই মারা যান দুজন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’

বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।

অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।

ঋত্বিক ঘটক

সম্পর্কিত নিবন্ধ