নড়াইলে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
Published: 19th, May 2025 GMT
নড়াইলে অটোরিকশাচালক আবু রোহান মোল্যা হত্যা মামলায় ২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নড়াইল সদর উপজেলার মুনজুর শেখের ছেলে শাহিন শেখ (২৪) ও আজিবার খাঁর ছেলে রমজান খাঁ (২৯)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন আবু রোহান মোল্যা। এ ঘটনায় রোহানের বাবা চান মিয়া মোল্যা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরের দিন সকাল ১০টায় আবু রোহান মোল্যার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত ২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেন।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনাসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাম্য হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জাবি ছাত্রদলের
নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এস এম আব্দুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা/শরিফুল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র জরুরি
শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও একটি সুস্থ, স্বাভাবিক ও পরিপূর্ণ জীবনের অপরিহার্য অংশ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য এখনো উপেক্ষিত একটি বিষয়, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এর ব্যতিক্রম নন। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার যে ঘাটতি রয়েছে, তা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ক্ষেত্রেও স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়।
নিয়মিত ক্লাস, ল্যাব ও পরীক্ষার চাপে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। এর পাশাপাশি পারিবারিক ও আর্থিক চাপ, আবাসনসংকট, পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফল না পাওয়া এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে বাধ্য করছে।
অনেক সময় এই চাপ থেকে প্যানিক অ্যাটাক, বিষণ্নতা, উদ্বেগ বা আরও গুরুতর মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়, যা কখনো কখনো আত্মহত্যার মতো মর্মান্তিক পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়। পরীক্ষার সময় মানসিক চাপে পড়ে অনেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, যা ভবিষ্যতে তাঁদের জন্য একধরনের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে (হেলথকেয়ার) কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নেই, এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যসেবার কোনো ব্যবস্থাও নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতালে যেতে হয়, যা অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। এ ছাড়া সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কার ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীদের মনে দ্বিধা ও সংকোচ তৈরি করে। অনেকে সমস্যা প্রকাশে দ্বিধা বোধ করেন, কেউ কেউ আবার বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি অজ্ঞ।
এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। ক্যাম্পাসে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি।
তাহমিনা সোনিয়া
শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ