গোবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো উপাচার্য সম্মাননা পেলেন শিক্ষার্থীরা
Published: 20th, May 2025 GMT
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতি দিতে প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে ‘উপাচার্য সম্মাননা’। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার ১৪ বছর পর প্রশাসনিকভাবে এ ধরনের সম্মাননা প্রদান করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১১টায় একাডেমিক ভবনের ৫০১ নম্বর কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সম্মাননার আওতায় ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ৩৩টি বিভাগের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী মোট ৭১ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা সনদ ও চেক প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপাচার্য অধ্যাপক হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, “আজকের দিনটি শিক্ষার্থীদের জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তারা ভবিষ্যতে যেখানেই থাকুক, তাদের সিভিতে এই সম্মাননা উল্লেখ করতে পারবে, যা হবে সম্মানের প্রতীক এবং ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণা।”
আরো পড়ুন:
নোবিপ্রবিতে গবেষণা মেলা ২২ জুন
ইউআইইউ অধ্যাপকের টেলিকম ও আইসিটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, ল্যাব এবং বাজেট সংকট থাকলেও এখান থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি হচ্ছে, যারা ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমি আশা করি, আজকের পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আমাদের পরিচয় আরো সমৃদ্ধ করবে। আমি একসময় থাকবো না, কিন্তু চাই এই সম্মাননা চালু থাক। যাতে এটি শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার পথে সহায়ক হয়।”
এ সময় অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য দেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো.
ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিহাস গড়লো ক্রিস্টাল, ম্যানসিটিকে জিতলো প্রথম বড় শিরোপা
দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবারের মতো বড় কোনো শিরোপা জিতে নিল ক্রিস্টাল প্যালেস। শনিবার (১৭ মে) রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত এফএ কাপের ফাইনালে শক্তিশালী ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বড় কোনো ট্রফি জয়ের আনন্দে মাতল দক্ষিণ লন্ডনের ক্লাবটি।
ম্যাচের জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন ইবেরেচি এজে। ম্যাচের ১৬ মিনিটে অসাধারণ এক ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। এরপর পুরো ম্যাচজুড়ে সিটির একের পর এক আক্রমণ সামলে দুর্দান্ত গোলকিপিং করেন সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন।
ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচে একাধিক সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। পেনাল্টিও পেয়েছিল তারা। কিন্তু ওমর মারমুশের নেয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন হেন্ডারসন।
ম্যাচ শেষে গোলদাতা এজে বলেন, ‘‘এটা আমাদের স্বপ্নপূরণের মুহূর্ত। কেউই বিশ্বাস করেনি আমরা পারব। কিন্তু আমরা ইতিহাস গড়েছি।’’ উল্লেখ্য, ক্যারিয়ারের শুরুতে আর্সেনালসহ অনেক ক্লাব এজেকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো এফএ কাপের ফাইনালে হেরে হতাশার মৌসুমে শেষ করল ম্যানচেস্টার সিটি। ২০১৬-১৭ মৌসুমের পর এই প্রথমবার তারা কোনো ঘরোয়া শিরোপা ছাড়াই মৌসুম শেষ করল।
এর আগে ১৯৯০ ও ২০১৬ সালের ফাইনালে হেরে গিয়েছিল প্যালেস। তবে তৃতীয় চেষ্টায় সফল হলো তারা। আর দলের অস্ট্রিয়ান কোচ অলিভার গ্লাসনার হয়ে গেলেন ইতিহাসে প্রথম অস্ট্রিয়ান কোচ যিনি এফএ কাপ জিতলেন।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য সিটি আক্রমণে ঝড় তোলে। কেভিন ডি ব্রুইনার শেষ ওয়েম্বলি ম্যাচে দারুণ একটি পাস থেকে হালান্ডের শট ঠেকিয়ে দেন হেন্ডারসন। এরপর গভার্দিওলের হেডও ঠেকিয়ে দেন তিনি।
তবে ১৫ মিনিটের মাথায় একমাত্র আক্রমণেই গোল আদায় করে নেয় প্যালেস। মাতেতার পাসে মুনোজের ক্রস থেকে দারুণ এক ভলিতে গোল করেন এজে। এরপর সিটির চাপ আরও বাড়লেও হেন্ডারসনের নেতৃত্বে রক্ষণভাগ ছিল দুর্ভেদ্য।
একবার মনে হয়েছিল, হেন্ডারসন হয়তো বল হাতে নিয়ে গোলবারের বাইরে চলে গিয়েছেন, তবে ভিএআরের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়, লাল কার্ডের প্রয়োজন নেই। পেনাল্টিতে সিটি ভরসা রাখে মারমুশের ওপর। কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন হেন্ডারসন।
ম্যাচ শেষে হেন্ডারসন বলেন, ‘‘আমরা আগেই বুঝেছিলাম, আজ আমাদের দিন। আমরা এই জয়ের যোগ্য। আমি জানতাম ও কোন দিকে শট নেবে। আর আমি নিশ্চিত ছিলাম, আমি তা ঠেকাতে পারব।’’
শেষদিকে একাধিকবার গোলের কাছাকাছি গেলেও গোল আদায় করতে ব্যর্থ হয় সিটি। ১০ মিনিটের অতিরিক্ত সময়েও গোল হয়নি তাদের। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে প্যালেস সমর্থকেরা। স্টেডিয়ামে তখন গর্জে ওঠে ক্লাবের অ্যান্থেম ‘গ্ল্যাড অল ওভার’। এক ঐতিহাসিক দিনে আনন্দে ভাসে ক্রিস্টাল প্যালেস ও তাদের সমর্থকেরা।
ঢাকা/আমিনুল