উপবৃত্তি পেতে অনার্সের শিক্ষার্থীদের আবেদনের সময় বাড়ল
Published: 21st, May 2025 GMT
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির অনলাইন আবেদনের সময় ২২ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক পিএমইএটির ই-স্টাইপেন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে ফরওয়ার্ড করার সময় আগামী ১ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুনকানাডায় ইউজিসি-ম্যাকগিল পিএইচডি স্কলারশিপ, আর্থিক সুবিধা মিলবে ৪ বছর৯ ঘণ্টা আগেগতকাল মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের থেকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে চলমান উপবৃত্তির আবেদনের সময় ২২ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুনএসএসসি–এইচএসসির বোর্ডসেরাদের ১০ ও ২৫ হাজার টাকা দেবে সরকার, যেভাবে আবেদন ১৯ মে ২০২৫উল্লেখ্য, এর আগে সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে চলমান উপবৃত্তির আবেদনের সময় ছিল ১৫ মে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক পিএমইএটিয়ের ই-স্টাইপেন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে ফরওয়ার্ড করার সময় ছিল ২৭ মে। এখন ২৭ তারিখের বদলে এখন ১ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় ২০২৫ সালে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনসৌদি আরব সরকারের বৃত্তি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য আবেদনের সুযোগ১২ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়