সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত ডা. জুবাইদা রহমানের আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। জুবাইদা রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিনের শুনানি শেষে আগামী ২৬ মে পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

আদালতে জুবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এবং ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এ সময় আরো অনেকে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৪ মে জুবাইদা রহমানকে জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। ১৩ মে তাকে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট।  

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও তথ্য গোপনের মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট তারেক রহমানকে ৯ বছর ও জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তারেক রহমান, জুবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২৩ সালের গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা.

জুবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

ঢাকা/এম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন আপ ল শ ন ন রহম ন র

এছাড়াও পড়ুন:

বাজেটে পানি, পয়োনিষ্কাশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের আসন্ন জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রয়োজন। বাজেটে পাহাড়ি, উপকূলীয় ও হাওর অঞ্চলের জন্য বরাদ্দে কোনো ধারাবাহিকতা নেই। সরকার ঘোষিত সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ পানি ও নিরাপদ পয়োনিষ্কাশনের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে এই ধারা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। নাগরিকের জন্য বৈষম্যহীন এবং সমতাভিত্তিক ওয়াশ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

‘জাতীয় বাজেটে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে এডিপি বরাদ্দ’ শীর্ষক এক প্রাক্‌-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা উঠে এসেছে। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

পিপিআরসি, ওয়াটারএইড, এমএইচএম প্ল্যাটফর্ম, ফানসা, এফএসএম নেটওয়ার্ক ও স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অলসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা এবং সংস্থাগুলোর ‘নেটওয়ার্ক অব ওয়াশ নেটওয়ার্কস’ যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বেসরকারি সংগঠন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ওয়াশ সেবার প্রাপ্তি দেশের নাগরিকদের একটি জন্মগত অধিকার। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত ও সামাজিক উন্নয়ন টেকসই করতে এই সেবাগুলো ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ সরকার ওয়াশ খাতে একাধিক নীতি ও কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান (এসডিপি) ২০১১-২০২৫ এবং ২০২১ সালের জাতীয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কৌশলপত্র উল্লেখযোগ্য।

হোসেন জিল্লুর আরও বলেন পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ নিম্নমুখী। নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দ কিছুটা বাড়লেও সেটা কেন হয়, তা পরিষ্কার নয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ওয়াশ খাতে বরাদ্দে ঊর্ধ্বগতি দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত এই সূচকে ধারাবাহিক উন্নতি হলেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসে তা প্রায় ২৩ ভাগ হ্রাস পায়। এ বছরও এই সূচক নিম্নগামী। কমেছে শতকরা ২২ দশমিক ৪৬ ভাগ। এই নিম্নমুখী প্রবণতা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৬ (এসডিজি) এবং জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা (এনপিটিএস ১৭-১৮) অর্জনের ক্ষেত্রে বড় বাধা।

হোসেন জিল্লুর আরও বলেন, বৈষম্যের আরেকটি দিক দেখতে পাওয়া যায় প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয়। এর মধ্যে আছে উপকূলীয় এলাকা, চর, হাওর ও পাহাড়। চরাঞ্চলে গত বছর কোনো বরাদ্দই ছিল না। উপকূলীয় অঞ্চলের বরাদ্দও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এ ছাড়া হাওর ও পাহাড়ের বাজেটও কমছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২৩-২০২৪ এবং ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১২টি সিটি করপোরেশনের মধ্যে মাত্র ৭টিতে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়েছে রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, কুমিল্লা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি লিড ফাইয়াজউদ্দিন আহমদ বলেন, বাজেটে পাহাড়ি, উপকূলীয় ও হাওর অঞ্চলের জন্য বরাদ্দে কোনো ধারাবাহিকতা নেই। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন প্রকল্পের কারণে বরাদ্দ কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে এসব এলাকার মধ্যে ন্যায্যতা এখনো নিশ্চিত হয়নি।

জলবায়ু-সম্পর্কিত ওয়াশ বাজেটের বৃদ্ধির প্রশংসা করে ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যালায়েন্সের প্রতিনিধি সুমাইয়া বিনতে আনোয়ার বলেন, ২৫টি মন্ত্রণালয় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (সিসিটিভি) এবং এডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ওয়াশসংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তবে মাত্র ১৩টি মন্ত্রণালয় ওয়াশ খাতে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে।

পিপিআরসি, ওয়াটারএইড, এমএইচএম প্ল্যাটফর্ম, ফানসা, এফএসএম নেটওয়ার্ক ও স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অলসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। ঢাকা, ১৯ মে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালকসহ ৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
  • কে এই বৈভব তানেজা, টেসলার সিএফও আয়ে পেছনে ফেলেছেন সুন্দর পিচাই-সত্য নাদেলাকেও
  • দুদকের মামলায় জুবাইদা রহমানের আপিল শুনানি আগামীকাল
  • সঠিক বরাদ্দ ও বাস্তবায়নই কৃষির ভবিষ্যৎ
  • পাঠশালার সঙ্গে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের চুক্তি বাতিল
  • ৭ মাস নারীকে বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করেন নোবেল, ৯৯৯-এ কল পেয়ে উদ্ধার: পুলিশ
  • আয়ে শীর্ষে অ্যাপেক্স, মুনাফায় বাটা
  • বাজেটে পানি, পয়োনিষ্কাশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি