কে এই বৈভব তানেজা, টেসলার সিএফও আয়ে পেছনে ফেলেছেন সুন্দর পিচাই-সত্য নাদেলাকেও
Published: 22nd, May 2025 GMT
বৈভব তানেজা। বয়স ৪৭ বছর। পড়াশোনা ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি ইলন মাস্কের টেসলার চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার-সিএফও। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৈভব নতুন করে এসেছেন আলোচনায়। কারণ, তাঁর বেতন প্যাকেজ। ২০২৪ সালের সবচেয়ে বেশি বেতনের সিএফও তিনি। পেছনে ফেলেছেন গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা-সিইও সুন্দর পিচাই এবং মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলাকেও। ২০২৪ সালে টেসলার সিএফও হিসেবে বৈভব বেতন পেয়েছেন ১৩৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া নিকোলা কোম্পানির সিএফও ২০২০ সালে যে ৮৬ মিলিয়ন ডলারের রেকর্ড করেছিলেন বেতন পেয়ে, তা–ও ছাড়িয়ে গেছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাবেক শিক্ষার্থী।
২০২৩ সালে পদোন্নতি পাওয়ার পর বৈভব তানেজার বেতন বেড়ে হয় চার লাখ ডলার। সত্য নাদেলা ও অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাইকেও বেতনের নিরিখে পেছনে ফেলেছেন তিনি। যদিও বৈভব তানেজার মূল বেতন চার লাখ ডলার, তবে তাঁর আয়ের প্রধান অংশ এসেছে শেয়ার এবং ইকুইটি পুরস্কার থেকে। ২০২৩ সালের আগস্টে সিএফও হওয়ার পর কোম্পানি থেকে শেয়ার ও ইকুইটি পান তিনি। টেসলার স্টকের দাম বাড়ার কারণে আয় বৃদ্ধি হয় তাঁর।
আরও পড়ুনবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে ৬৬২ পদে বিশাল নিয়োগ, করুন আবেদন ২১ মে ২০২৫২০১৭ সালে টেসলায় যোগ দেন বৈভব তানেজা। তাঁর বেশির ভাগ আয়ের অংশই এসেছে স্টক অপশন থেকে। টেসলা শেয়ার যা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল সংস্থায় যোগদানের শুরুতে, তখন তার মোট মূল্য ছিল ২৫০ ডলার। ২০২৫ সালের ১৯ মে-তে এসে এই স্টকের দাম বেড়ে হয়েছে ৩৪২ ডলার।
আরও পড়ুন৪৭তম বিসিএস প্রিলির তারিখ দ্বিতীয়বারের মতো পেছাল১৬ ঘণ্টা আগেকে এই বৈভব তানেজাবৈভব তানেজা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র স এফও
এছাড়াও পড়ুন:
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সহসভাপতির মামলা
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা মারমা ও সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাশসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন একই কমিটির সহসভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী। জমি ও ভবন দখল এবং ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগে গত ২৬ জুন জেলা সদরের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করা হয়।
আজ রোববার মামলাটির বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী রাজীব চন্দ্র ধর প্রথম আলোকে বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বিবাদীদের ২৯ জুলাই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আবাহনী ক্রীড়াচক্রের জেলা সভাপতি দাবি করা আবদুর রহিম চৌধুরী মামলার আবেদনে উল্লেখ করেন, ১৯৮৭-৮৮ সালে বাজার ফান্ড থেকে আবাহনীর নামে সি-২২৬ নম্বর প্লটে ৩৬০ বর্গফুট জমি বন্দোবস্ত নেওয়া হয়। পরে তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নে সেখানে একটি ভবন নির্মাণ করেন। ভবনের নিচতলায় দোকান এবং দ্বিতীয় তলায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। ১৯৯৪ সালে মাসিক ১ হাজার ৮০০ টাকায় ভাড়া চুক্তি হলেও জেলা আওয়ামী লীগ কোনো ভাড়া পরিশোধ করেনি।
বাদীর দাবি, ২০২৩ সালে ওই জমির একাংশ জেলা আওয়ামী লীগের নামে দলিল করে নেওয়া হয়েছে। তিনি আদালতের কাছে দলিল বাতিল ও জমির মালিকানা পুনরায় তাঁর নামে স্বত্ব ঘোষণা চেয়েছেন।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা মারমা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং বাজার ফান্ডের প্রশাসক পদে থেকে নিজেই নিজের নামে জমির বন্দোবস্ত অনুমোদন দেন। লক্ষ্মীপদ দাশও তখন জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আবদুর রহিমের দাবি, তাঁকে খুশি রাখার কথা বলে জেলা পরিষদ থেকে আবাহনীর জমিতে ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের আশ্বাস দেন ক্যশৈহ্লা ও লক্ষ্মীপদ। ওই প্রকল্প অনুমোদনের খরচ হিসেবে তাঁর কাছ থেকে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হলেও পরে প্রকল্প বাতিল করে ওই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
তবে আবাহনী ক্রীড়াচক্রের ১৯৮৭ সালের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিল কান্তি দাশ বলেন, সে সময় কমিটির সভাপতি ছিলেন বর্তমানে জেলা বিএনপির সভাপতি সাচিংপ্রু জেরী ও সহসভাপতি ছিলেন আবদুর রহিম। তাঁর জানা মতে, এরপর আর কোনো কমিটি হয়নি। রহিম কীভাবে সভাপতি হলেন, তা জানা নেই।
আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারেননি। তাঁর কাছে থাকা আবাহনী কমিটি, জমির দলিল ও ভাড়ার নথিপত্র হারিয়ে গেছে। তবে দাবি করেন, ১৯৯২ সালে আবাহনীর নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা মারমা বর্তমানে পলাতক এবং সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাশ কারাগারে আছেন। এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা পরিষদের বাজার ফান্ড শাখার কর্মকর্তারা জানান, আবাহনী ক্রীড়াচক্রের জমির একাংশ ২০২৩ সালে জেলা আওয়ামী লীগের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে খাজনা না দেওয়ায় আবাহনী ক্রীড়াচক্র ও আওয়ামী লীগের জমির বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে। ওই জমিতে বাজার ফান্ড কর্তৃপক্ষ ও বাজার চৌধুরীর কার্যালয় নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।