‘শেষের কবিতা’র কিটি, অমিত আর লাবণ্যের কথা মনে আছে? একবার একজনকে ঠিক মনে হয়। অমিতকে ঘিরে দুইজনেরই ভালোবাসা, আবেগ, উচ্ছ্বাস আছে প্রবল। ত্রিভূজ প্রেমের গল্পগুলো আর এর চরিত্রগুলো এই মনে হয় ঠিক, এই মনে হয় বেঠিক। ঢালিউডের অপু, শাকিব আর বুবলী আখ্যানও তাই। কিন্তু পাঠকমাত্রই এই কথা নিশ্চয় স্বীকার করবেন ভালোবাসার অনুভূতিগুলো সত্য। 

যাইহোক সদ্যই বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন ঢালিউড কিং শাকিব খান। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে ফর্মাল ও গ্ল্যামার লুকের এক ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। চোখ আটকে যায় শাকিব খানের ডার্ক ব্লাক স্যুটের ওপর কালো ঝলমলে কোটে। নায়কের চোখে সানগ্লাস আর বুকে ‘SK’ লেখা ব্রোচ। 

শাকিব খান লিখেছেন,  ‘শান্ত ব্যক্তিদের ঝড়ের চেয়েও বেশি জোরে কথা বলতে দিন।’ আর পোস্টটি প্রকাশ করার সঙ্গেই তা ঝড়ের বেগেই ছড়িয়ে পড়ে। নায়কের ভক্ত-অনুরাগীরাও তা শেয়ার করে শাকিবের লুকের প্রশংসা করছেন। নেটিজেনদের অনেকের মন্তব্য, বলিউডের খানদের সঙ্গে শাকিবকে এখন আলাদা করা যায় না।

আরো পড়ুন:

শাকিব খান ‘ফিফটি পারসেন্ট’ অপুর

‘মুখোশধারী’ শাকিবের দেড় মিনিটের ঝড়

শাকিব খানের ওই পোস্ট শেয়ার করেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমাদের সিনেমা জগতের সবচেয়ে শক্তিশালী, মেগাস্টার, ওয়ান অ্যান্ড অনলি শাকিব খান। যিনি বাংলা চলচ্চিত্রে ২৫ বছর ধরে অবদান রেখে চলেছেন।’ 

সঙ্গে সেই সম্মাননা পাওয়া নিয়ে অভিনন্দনও জানান বুবলী।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপ ব শ ব স

এছাড়াও পড়ুন:

দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে জনগণকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার

যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

আজ শনিবার দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত বৈঠকে শেষে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ বিবৃতি পাঠানো হয়েছে।

বিবৃতিটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

আজ শনিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।

দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এ দেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ।

এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।

শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার ওপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ