ঠিক বিশ্বকাপের মতো করে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ফিফা। ৩২ দল যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত এক মাসের এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। নতুন ফরম্যাটের এই ক্লাব বিশ্বকাপে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো না থাকলে কি মানায়!

ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো পর্যন্ত একটা উপায় বের করার বার্তা দিয়েছেন, ‘ক্লাব বিশ্বকাপে রোনালদো খেলতেই পারে। কিছু ক্লাব বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে। তারা ক্লাব বিশ্বকাপ সামনে রেখে তাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী। হাতে আরও কিছু সময় বাকি আছে। দেখা যাক।’

ফিফা প্রেসিডেন্ট এও জানিয়েছেন, ইন্টার মায়ামি রোনালদোকে কেনার চেষ্টা করতে পারে। মেসি ও রোনালদো একই দলের হয়ে খেললে ভক্তরা পছন্দ করবে।

মরক্কোর ক্লাব ওয়েদাদ কাসাব্লাঙ্কা রোনালদোকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন মরক্কোর ফুটবলার নরদিন আম্রাবাত, ‘এটা সত্য। কাসাব্লাঙ্কার প্রেসিডেন্ট খুবই আশাবাদী। তিনি বড় কিছু নাম নিয়ে কাজ করছেন। রোনালদো তাদের একজন।’ আম্রাবাত হালসিটি থেকে কাসাব্লাঙ্কায় যোগ দিয়েছেন।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের ৩০ জুন চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। ক্লাব বিশ্বকাপে আল নাসর জায়গা পায়নি। রোনালদোর সঙ্গে ক্লাবটি চুক্তি নবায়ন করবে কিনা তাও নিশ্চিত নয়। ক্লাব বিশ্বকাপ ঘিরে বেশ কিছু ক্লাবে সিআরসেভেনের যাওয়ার গুঞ্জন আছে। ইন্টার মায়ামি, ক্লাসাব্লাঙ্কা, ব্রাজিলের বোটাফোগো এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ফ ক ল ব ব শ বক প ক ল ব ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ