ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য রোনালদোকে কিনতে চায় কাসাব্লাঙ্কা
Published: 25th, May 2025 GMT
ঠিক বিশ্বকাপের মতো করে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ফিফা। ৩২ দল যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত এক মাসের এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। নতুন ফরম্যাটের এই ক্লাব বিশ্বকাপে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো না থাকলে কি মানায়!
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো পর্যন্ত একটা উপায় বের করার বার্তা দিয়েছেন, ‘ক্লাব বিশ্বকাপে রোনালদো খেলতেই পারে। কিছু ক্লাব বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে। তারা ক্লাব বিশ্বকাপ সামনে রেখে তাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী। হাতে আরও কিছু সময় বাকি আছে। দেখা যাক।’
ফিফা প্রেসিডেন্ট এও জানিয়েছেন, ইন্টার মায়ামি রোনালদোকে কেনার চেষ্টা করতে পারে। মেসি ও রোনালদো একই দলের হয়ে খেললে ভক্তরা পছন্দ করবে।
মরক্কোর ক্লাব ওয়েদাদ কাসাব্লাঙ্কা রোনালদোকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন মরক্কোর ফুটবলার নরদিন আম্রাবাত, ‘এটা সত্য। কাসাব্লাঙ্কার প্রেসিডেন্ট খুবই আশাবাদী। তিনি বড় কিছু নাম নিয়ে কাজ করছেন। রোনালদো তাদের একজন।’ আম্রাবাত হালসিটি থেকে কাসাব্লাঙ্কায় যোগ দিয়েছেন।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের ৩০ জুন চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। ক্লাব বিশ্বকাপে আল নাসর জায়গা পায়নি। রোনালদোর সঙ্গে ক্লাবটি চুক্তি নবায়ন করবে কিনা তাও নিশ্চিত নয়। ক্লাব বিশ্বকাপ ঘিরে বেশ কিছু ক্লাবে সিআরসেভেনের যাওয়ার গুঞ্জন আছে। ইন্টার মায়ামি, ক্লাসাব্লাঙ্কা, ব্রাজিলের বোটাফোগো এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ফ ক ল ব ব শ বক প ক ল ব ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন ডিসেম্বর না জুনে, এই বিতর্কের সমঝোতাভিত্তিক সমাধান চায় এবি পার্টি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠানে কোনো সমস্যা আছে কি না, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
একই সঙ্গে মজিবুর রহমান মঞ্জু নির্বাচন ডিসেম্বরে না হয়ে জুনে হলে কোনো অসুবিধা আছে কি না, তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন বিএনপির কাছে। নির্বাচন ডিসেম্বরে না জুনে, এই বিতর্কের সমঝোতাভিত্তিক সমাধানও চেয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সন্ধ্যায় সেখান থেকে বেরিয়ে যমুনার সামনে বৈঠকের খুঁটিনাটি সাংবাদিকদের জানান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
মজিবুর রহমান বলেন, বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের ব্যাপক সন্দেহ, সংশয় ও ভুল–বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। নবগঠিত দল এনসিপির সঙ্গেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে। এমনকি গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রসমাজের মধ্যে বিভাজন দেখা দিলেও সরকার সে বিষয়ে নির্বিকার থেকেছে। এটা ক্রমেই সরকারের সমর্থনের ভিত্তিকে দুর্বল করে তুলেছে।
মজিবুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন ডিসেম্বরে করতে কী সমস্যা? অনিবার্য কারণে জুন পর্যন্ত সময় লাগলেই বা অসুবিধা কী? অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির কাছে জনগণ এর ব্যাখ্যা জানতে চায়। আশা করি উভয় পক্ষ এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য তুলে ধরবে।’
প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে দেশ এক অনিশ্চিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে মন্তব্য করে মজিবুর রহমান বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সঠিক উপলব্ধি, ছাড় দেওয়ার মনোভাব প্রদর্শন, ইগো পরিত্যাগ ও সমঝোতামূলক পদক্ষেপই উত্তম সমাধান। সরকারের পক্ষ থেকে যেসব ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে সেগুলো সংশোধনেও উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন, সংশোধন, পরিমার্জনসহ জাতীয় ঐক্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে কঠোর কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
এ ছাড়া সরকারকে সবার ঐকমত্যে গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র ও জাতীয় সনদ তৈরি এবং নির্বাচন, সংস্কার ও ফ্যাসিবাদী-খুনিদের বিচারের একটি রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন মজিবুর রহমান।
আজ দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। প্রথম দফায় বিকেলে এবি পার্টি ছাড়াও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় গণফ্রন্ট, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, ভাসানী জনশক্তি পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস।
এরপর দ্বিতীয় দফায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি এবং ইসলামী ঐক্য জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
নানা ক্ষোভ ও হতাশা থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন, এমন খবরে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সব মহলে আলোড়নের সৃষ্টি হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়।