নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সভাপতি গ্রেপ্তার
Published: 25th, May 2025 GMT
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কুড়িগ্রাম জেলার সাবেক সভাপতি মোমিনুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার জাফরাবাদ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার সন্ধ্যায় র্যাব-২ এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, মোমিনুর সর্বশেষ কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সরকার পতনের পর থেকে তিনি নিষিদ্ধ সংগঠনের মিছিল–মিটিংসহ রাষ্ট্রবিরোধী নানা অপতৎপরতায় জড়িত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, লুটপাটসহ নাশকতার ঘটনায় বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব ২–এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) খান আসিফ প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকায় অভিযান চালিয়ে জাফরাবাদ থেকে মোমিনুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে ডিবি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একই সঙ্গে এই ছাত্রসংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। এদিকে ১২ মে এক প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা–কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার, মিছিল, সভা–সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী বছর থেকে কোরবানির পশুর হাটে হাসিল হবে ৩ শতাংশ
আগামী বছর থেকে কোরবানির পশুর হাটে হাসিল দামের ৩ শতাংশ করে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এ বছর কোরবানির পশুর হাট থেকে ৫ শতাংশ হাসিল আদায় হবে। আগামী বছর থেকে ৩ শতাংশের বেশি হাসিল নেওয়া হবে না। এ ছাড়া এ বছর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ২০টি কোরবানির হাট বসবে বলে জানান তিনি।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট ও কাঁচা চামড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত সভা শেষে রোববার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছর কোরবানির ঈদে মানুষ যাতে চামড়ার ন্যায্যমূল্য পান, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রতিবছরই চামড়ার ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়, এ কারণে চামড়া নষ্ট হয়। এটা গরিবের হক। এ বছর মানুষ চামড়ার ন্যায্যমূল্য পাবেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে কোরবানির হাটে হাসিল কমানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ৫ শতাংশ হাসিল অনেক বেশি। তবে এবার হাসিল কমানো সম্ভব নয়। আগামী বছর থেকে ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরী ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ এজাজ সাংবাদিকদের জানান, দুই সিটি করপোরেশনে মোট ২০টি কোরবানির হাট বসবে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে ১০টি ও ঢাকা দক্ষিণে ১০টি। এসব হাট বসবে মহাসড়ক থেকে দূরে। যাতে যানজট তৈরি না হয়। এ বছর কোনো অবৈধ হাট বসতে দেওয়া হবে না। দুই সিটিতে কোনো অননুমোদিত জায়গায় কোরবানির হাট বসবে না। অনুমোদিত হাটে সিসি ক্যামেরা থাকবে। আনসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চামড়ার ন্যায্যমূল্য কীভাবে নিশ্চিত হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, অতীতে প্রতিটি চামড়ার দাম ২ হাজার টাকা উঠেছিল। গত কয়েক বছর চামড়ার দাম অনেক কমে গেছে। এবার যদি গরুর মালিক চামড়ার দাম ১২০০ টাকা পান, সেটা ন্যায্য হবে।
এ বছর চামড়া যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য বিনা পয়সায় জেলা ও থানায় পর্যাপ্ত লবণ বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি। তা ছাড়া চামড়া রপ্তানির জন্য এ বছর আগাম অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে চামড়া রপ্তানিতে গড়িমসি করা হতো।
গাবতলীর কোরবানির হাটের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, গাবতলী হাটের ইজারা দেওয়া হয়েছে। অন্য কোরবানির হাটও ইজারা দেওয়া হয়েছে।
আসন্ন কোরবানির ঈদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশসরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো কথা থাকলে তাঁরা আলোচনা করতে পারেন বলে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরি আইনটি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারসাজি করতে সংশোধন করেছিল।’
এখন কেন অধ্যাদেশটি করা জরুরি ছিল—এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারব না। তবে যে সময় যেটার দরকার পড়ে, সে সময় সেটা করা হয়।’