আমিরাতের কাছে হারে ‘চাঙা’ হয়ে পাকিস্তানে বাংলাদেশের ‘সেরাটা খেলা’র আশায় সিমন্স
Published: 27th, May 2025 GMT
পাকিস্তান ভালোই চেনা ফিল সিমন্সের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলাকালে নিয়মিতই গিয়েছেন পাকিস্তানে খেলতে। অবসরের পর বিভিন্ন দলের কোচ হিসেবেও গিয়েছেন দেশটিতে। কাজ করেছেন পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দল করাচি কিংসেও। এবার সিমন্স পাকিস্তানে গিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়ে।
আরও পড়ুনসাকিবের জন্য বাংলাদেশ দলের দরজা খোলা, বললেন বিসিবি পরিচালক২ ঘণ্টা আগেভারত–পাকিস্তান সংঘাতে অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি–টোয়েন্টি সিরিজ, পাঁচ থেকে হয়ে যায় তিন ম্যাচের। স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলি, ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট ও ক্রিকেটার নাহিদ রানা পাকিস্তানে যাননি নিরাপত্তাশঙ্কায়। তবে গিয়েছেন সিমন্স।
কাল লাহোরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে অনুশীলনে ছিলেন সিমন্স। সেখানে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় পাকিস্তানের স্মৃতি নিয়ে—তখন নিজের খেলোয়াড়ি জীবন ফিরে যান এই ক্যারিবিয়ান কোচ, ‘পাকিস্তানে সবই সোনালি স্মৃতি। খেলোয়াড়ি জীবনে পাকিস্তান উপভোগ করেছি, এখানে খেলাও। আরও বেশি স্বাধীনতা ছিল বাইরে যাওয়ার। আমি করাচিতেও (পিএসএল) উপভোগ করেছি। সব সময় এখানে আসার জন্য মুখিয়ে থাকি।’
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গতকাল অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স মন স
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়ন হয়ে কতো টাকা পেল লাহোর কালান্দার্স?
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দশম আসর যেন ছিল নাটকীয়তায় ভরা এক মঞ্চ। যেখানে শেষ দৃশ্যটা লিখেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন লাহোর কালান্দার্স। রোববার রাতে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়ে টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। আর সেই জয়ের উৎসবে যোগ হলো টাকা, ট্রফি আর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্বীকৃতি।
দুই শতাধিক রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লাহোরের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের আকাশচুম্বী রানের পাহাড় যেন ক্ষয়ে গেলো দ্রুতই। ২০১ রানের বিশাল সংগ্রহও লাহোরকে আটকাতে পারেনি। ম্যাচের নায়ক কুশল পেরেরা খেললেন ৩১ বলে বিধ্বংসী ৬২ রানের ইনিংস, যেটা কেবল ফাইনাল নয়, গোটা আসরের অন্যতম স্মরণীয় পারফরম্যান্স হয়ে থাকবে। তার এই ঝড়ো ইনিংসের পুরস্কার হিসেবে মিলেছে ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি।
ম্যাচ শেষে অর্থের ছড়াছড়ি তো ছিলই, ছিল সম্মান আর গৌরবের ট্রফির ভাণ্ডার। শিরোপা ঘরে তুলে লাহোর কালান্দার্স পেয়েছে ১৪ কোটি পাকিস্তানি রুপি (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ কোটি ৫ লাখ)। কোয়েটার জন্য সান্ত্বনা হিসেবে ছিল রানার্সআপ ট্রফি এবং ৫ কোটি ৬০ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৪১ লাখ)।
আরো পড়ুন:
দাপুটে জয়ে চ্যাম্পিয়ন রিশাদ-সাকিবদের লাহোর
ছিটকে গেলেন মোস্তাফিজ, পাকিস্তান সিরিজের দলে খালেদ
পুরো টুর্নামেন্টে আলো ছড়ানো কোয়েটার ব্যাটার হাসান নেওয়াজ জিতে নিয়েছেন ‘টুর্নামেন্ট সেরা’র খেতাব, সঙ্গে ৩০ লাখ রুপি আর একটি নতুন বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩৯৯ রান করে তিনি হয়েছেন সেরা ব্যাটসম্যান। যার পুরস্কার আরও ৩৫ লাখ রুপি।
শুধু ব্যাট নয়, বল হাতেও উজ্জ্বল ছিলেন লাহোর অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির স্বীকৃতির পাশাপাশি জিতে নিয়েছেন সেরা বোলার হওয়ার পুরস্কার, যার অর্থমূল্য ৩৫ লাখ রুপি।
তালিকায় আরও ছিলেন সিকান্দার রাজা (সেরা অলরাউন্ডার), আবদুস সামাদ (সেরা ফিল্ডার), মোহাম্মদ হারিস (সেরা উইকেটকিপার) ও মোহাম্মদ নাঈম (সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়)। এদের প্রত্যেকেই পেয়েছেন ৩৫ লাখ রুপি করে।
মাঠের বাইরেও বিচার হয়েছে পারফরম্যান্সের। সেরা আম্পায়ার নির্বাচিত হয়েছেন আসিফ ইয়াকুব। আর ফাইনালের সেরা ক্যাচ ধরে আলো কাড়েন শ্রীলঙ্কান আবিষ্কা ফার্নান্ডো।
পিএসএলের দশম আসর ছিল প্রতিভা, পারফরম্যান্স আর প্রাইজমানির এক রোমাঞ্চকর কাহিনি। শেষ পর্যন্ত, টাকা নয়; প্যাশন আর দলের প্রতি নিবেদনই জয় এনে দেয় লাহোরকে। সেই সঙ্গে স্মরণীয় এক আসর উপহার দিলো বিশ্ব ক্রিকেটকে।
ঢাকা/আমিনুল