রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে একাদশ শ্রেণিতে ইটিসি, শেষ সময় ১৬ জুন
Published: 28th, May 2025 GMT
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর অধীন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ইটিসি বা এক কলেজ থেকে অন্য কলেজে ছাড়পত্রের কার্যক্রমের সময় ঘোষণা করা হয়েছে। বোর্ড চেয়ারম্যানের নির্দেশে কলেজ পরিদর্শক এ কার্যক্রমের সময় বাড়ানোর আদেশও জারি করেছেন। আবেদনের সময়সীমা ১৬ জুন পর্যন্ত।
যা করতে হবে
১৬ জুনের মধ্যে শিক্ষার্থীর অনলাইন আবেদনের ভিত্তিতে প্রথম প্রতিষ্ঠান অনলাইনে স্বাক্ষর বা সাইন আউট করলে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান বা ভর্তি-ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে সাইন ইন বা স্বাক্ষর করবে।
এরপর সোনালী সেবার ১ হাজার ১০০ টাকার পে-স্লিপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে। পে-স্লিপের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় পাঁচ দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। তা না হলে আবেদন বাতিল হবে।
প্রয়োজনীয় ফিসহ আবেদনের অনলাইন প্রিন্ট কপি মাধ্যমিকের নম্বরপত্রের অনুলিপিসহ কলেজ নিবন্ধন শাখায় জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য
শিক্ষার্থীর অনলাইন আবেদনের ভিত্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান টিসি অপশন https://www.
ছাড়পত্রের অনুমতি পাওয়ার পর বর্তমান কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে ভর্তির সব প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ছাড়পত্র দেওয়ার সময় কলেজে জমা করা মূল কাগজপত্র ফেরত দিতে হবে। ভর্তি গ্রহণকারী কলেজকে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মূল কাগজপত্র বা প্রমাণ নিজ হেফাজতে সংরক্ষণ করতে হবে।
ছাড়পত্র দেওয়া কলেজ যে মাসে ছাড়পত্র দেবে, সেই মাস পর্যন্ত বেতন নেবে। ভর্তি গ্রহণকারী কলেজ আগের কলেজে যে পর্যন্ত বেতন পরিশোধ করা আছে, তার পরের মাস থেকে বেতন নেবে। ১৬ জুনের পর ইটিসির সুযোগ থাকবে না। ম্যানুয়াল বা অফলাইন টিসি ছাড়পত্রের কোনো সুযোগ নেই।
বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে ওয়েবসাইটে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১৬ জ ন
এছাড়াও পড়ুন:
শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম ইএসজি বুটক্যাম্প
চলতি বছরের জুনে দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএসজি) বুটক্যাম্প ২০২৫। সাস্টেনেবিলিটি প্রফেশনালস, ইন্ডাস্ট্রি লিডারস ও নামিদামি ব্র্যান্ডদের এতে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন এবং স্পন্সরশিপের সুবর্ণ সুযোগ চালু হয়েছে।
ইএসজি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের উদ্যোগে ব্র্যাক সিডিএম, রাজেন্দ্রপুরে আগামী ২০ থেকে ২২ জুন চলবে এ বুটক্যাম্প। তিন দিনব্যাপী এ আয়োজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ইএসজি ও সাস্টেইনেবিলিটি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন, নেটওয়ার্কিং এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনের এক অনন্য সুযোগ হয়ে উঠবে।
এছাড়াও এখানে দেশের বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি থেকে পেশাজীবীরা দেশ ও বিদেশের এক্সপার্টদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবেন। বিভিন্ন কেস-স্টাডি, টুলকিট, পারফর্ম্যান্স মেট্রিক্স এবং স্ট্র্যাটেজি শেখানোর মাধ্যমে ব্যবসায়িক উন্নয়নে সহায়তা করাই প্রোগ্রামটির মূল লক্ষ্য।
দেশের পাঁচটি প্রধান খাত; রেডি মেড গার্মেন্টস (আরএমজি), এফএমসিজি ও টেলিকমিউনিকেশন, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, নৌ-শিল্প এবং ওষুধ শিল্পের ২০০-এর অধিক পেশাজীবী প্রোগ্রামে অংশ নেবেন।
সেখানে অংশগ্রহণকারীরা ইএসজি স্ট্র্যাটেজি, প্রয়োজনীয় টুলস এবং কেপিআই সংক্রান্ত বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করবেন, যা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে টেকসই ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশি ইএসজি এক্সপার্ট, সরকারি উপদেষ্টা ও কর্পোরেট লিডারদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ইএসজি এক্সপার্টরা বুটক্যাম্পে অংশ নেবেন। সেখানে বিভিন্ন সেক্টরের জন্য স্পেশালাইজড ওয়ার্কশপ, ইন্টার্যাকটিভ ল্যাব এবং কেস-স্টাডি আলোচনা হবে। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা আইএসও, জিআরআই, আইএফআরএস, ইএসজি নীতিমালা এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
প্রোগ্রামে সরকারের নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, উন্নয়ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। অংশগ্রহণকারীরা ইএসজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর মধ্যে ইএসজির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ও বাস্তবভিত্তিক ধারণা লাভ করবেন।
ইএসজি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক সাদমান সাকিব অনিক, সিএসআরএম বলেন, ‘ইএসজি বুটক্যাম্প ২০২৫ শুধুমাত্র একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নয়, এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের পূর্বাভাস। আমাদের লক্ষ্য হলো— কারিগরি সহায়তা, উন্নত ধারণা এবং নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেকসই অর্থনীতিতে টিকে থাকা ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা। আমরা বিশ্বাস করি, কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়— তাহলেই টেকসই পরিবর্তনের সুবাতাস বইবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি