এ সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপে চোখ পাকিস্তানের
Published: 28th, May 2025 GMT
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। আজ শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ দিয়ে সেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করবে পাকিস্তান। গতকাল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সালমান আলী আগা বলেছেন, আগামী টি২০ বিশ্বকাপের জন্য ২০-২৫ জনের একটা গ্রুপ তৈরি করতে চান। সে কাজটা তারা এখন থেকে শুরু করতে চান। এর আগের দিন কোচ মাইক হেসনও আগামী বিশ্বকাপের প্রস্তুতির কথা বলেছেন।
পাকিস্তানের এ দলে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন আফ্রিদির মতো তিন তারকা নেই। সুযোগ দেওয়া হয়েছে সদ্য সমাপ্ত পিএসএলে পারফর্ম করা হাসান নওয়াজ, সাহিবজাদা ফারহান, ইরফান খানের মতো তরুণদের।
এ পরিবর্তন নিয়ে সালমান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো বিশ্বকাপের আগে এমন একটি একাদশ তৈরি করা যারা শ্রীলঙ্কান (আগামী বিশ্বকাপের ভেন্যু) কন্ডিশনে দুর্দান্ত পারফর্ম করবে। সে সঙ্গে আমরা ২০-২৫ জনের একটা পুল তৈরি করতে চাই, যেন বিশ্বকাপের আগে কেউ চোটে পড়লে দলকে ভুগতে না হয়। গত বিশ্বকাপে এই কারণে আমাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।’
এই পরিবর্তন নিয়ে গতপরশু অবশ্য ভিন্ন কথা বলেছিলেন পাকিস্তানের সাদা বলের নতুন কোচ মাইক হেসন, ‘আগামী টি২০ বিশ্বকাপের আগে আমাদের হাতে যথেষ্ট ম্যাচ আছে। আমরা যে স্টাইলে টি২০ খেলতে চাই, সেটা এই সময়ের মধ্যে আশা করছি অভ্যস্ত হতে পারব। আর এই স্টাইলের সঙ্গে মানানসই খেলোয়াড়দেরই আমরা দলে নেব।’ সদ্য সমাপ্ত পিএসএলে সালমান ও হেসন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডে জুটি ছিলেন। সেখানে তারা আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের ব্র্যান্ড গড়ে তুলেছিলেন। জাতীয় দলেও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন সালমান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব শ বক প র
এছাড়াও পড়ুন:
বারসিকের গবেষণা: রাজশাহীর ৯৯ ভাগ দোকানেই মিলছে নিষিদ্ধ কীটনাশক
রাজশাহীর ৯৯ ভাগ কীটনাশকের দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে নিষিদ্ধ কীটনাশক ও বালাইনাশক। সরকার নিষিদ্ধ করে রাখলেও নানা নামে এসব কীটনাশক বাজারজাত করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশ, প্রকৃতি ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। শতকরা ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারীই জানেন না এগুলো নিষিদ্ধ এবং বিপজ্জনক।
চলতি বছর রাজশাহীতে ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধানমূলক সমীক্ষা’ শীর্ষক এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। সমীক্ষাটি করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজশাহী নগরের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজশাহীর আটটি উপজেলার ১৯টি কৃষিপ্রধান গ্রামাঞ্চলে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ, ভুক্তভোগীদের কেস স্টাডি, স্থানীয় কীটনাশক ডিলার, দোকানদার, পরিবেশক এবং উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সমীক্ষাটি করা হয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর কীটনাশকের ৯৯ ভাগ দোকানেই দেশে নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন নামে। এসব নাম দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নিষিদ্ধ, বোতলের গায়ে নিচের দিকে জেনেরিক নাম খুব ছোট করে লেখা থাকে।
বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ যেসব কীটনাশক এখনো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো হলো- জিরো হার্ব ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), ফুরাডান ৫জি (কার্বোরাইল), এরোক্সান ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), গ্যাস ট্যাবলেট (অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড), কার্বোফোরান ৩ জিএসিআই (কার্বোফোরান), ইঁদুর মারা বিষ (বডিফ্যাকোয়াম) ও তালাফ ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট)। এই প্যারাকোয়াট বা ঘাস মারা বিষ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকে এগুলো আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে পান করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে কিডনি নষ্ট হয়ে তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজারে অহরহ এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু সরকারের কোনো তদারকি নেই। এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে কৃষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। নিষিদ্ধ কীটনাশক কীভাবে বাজারে বিক্রি হয়, কৃষি বিভাগের দায়িত্ব কী সে বিষয়েও সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রশ্ন তোলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিষিদ্ধ কিছু কীটনাশকও আনা হয়। এগুলো যে দোকান থেকে কেনা হয়েছে তার রশিদও দেখানো হয়। এসব দেখিয়ে বারসিকের নির্বাহী পরিচালক পাভেল পার্থ বলেন, “এগুলো তো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কিনেছি। রশিদও আছে। এগুলো নিষিদ্ধ। আমরা এগুলো হাজির করতে বাধ্য হয়েছি। এই গবেষণা একটি ফৌজদারি অপরাধকে খুঁজে পেয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করা, কীটনাশক আইন ও বিধি প্রয়োগ করা, কীটনাশক সম্পর্কিত স্বাস্থ্য তথ্য নিবন্ধন করা, কীটনাশকের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের জন্য তহবিল গঠন করার সুপারিশ করা হয়।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ