২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। আজ শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ দিয়ে সেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করবে পাকিস্তান। গতকাল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সালমান আলী আগা বলেছেন, আগামী টি২০ বিশ্বকাপের জন্য ২০-২৫ জনের একটা গ্রুপ তৈরি করতে চান। সে কাজটা তারা এখন থেকে শুরু করতে চান। এর আগের দিন কোচ মাইক হেসনও আগামী বিশ্বকাপের প্রস্তুতির কথা বলেছেন। 

পাকিস্তানের এ দলে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন আফ্রিদির মতো তিন তারকা নেই। সুযোগ দেওয়া হয়েছে সদ্য সমাপ্ত পিএসএলে পারফর্ম করা হাসান নওয়াজ, সাহিবজাদা ফারহান, ইরফান খানের মতো তরুণদের।

এ পরিবর্তন নিয়ে সালমান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো বিশ্বকাপের আগে এমন একটি একাদশ তৈরি করা যারা শ্রীলঙ্কান (আগামী বিশ্বকাপের ভেন্যু) কন্ডিশনে দুর্দান্ত পারফর্ম করবে। সে সঙ্গে আমরা ২০-২৫ জনের একটা পুল তৈরি করতে চাই, যেন বিশ্বকাপের আগে কেউ চোটে পড়লে দলকে ভুগতে না হয়। গত বিশ্বকাপে এই কারণে আমাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।’

এই পরিবর্তন নিয়ে গতপরশু অবশ্য ভিন্ন কথা বলেছিলেন পাকিস্তানের সাদা বলের নতুন কোচ মাইক হেসন, ‘আগামী টি২০ বিশ্বকাপের আগে আমাদের হাতে যথেষ্ট ম্যাচ আছে। আমরা যে স্টাইলে টি২০ খেলতে চাই, সেটা এই সময়ের মধ্যে আশা করছি অভ্যস্ত হতে পারব। আর এই স্টাইলের সঙ্গে মানানসই খেলোয়াড়দেরই আমরা দলে নেব।’ সদ্য সমাপ্ত পিএসএলে সালমান ও হেসন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডে জুটি ছিলেন। সেখানে তারা আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের ব্র্যান্ড গড়ে তুলেছিলেন। জাতীয় দলেও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন সালমান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বক প র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে ডিআরএস কেন নেই, কারণ কি জয় শাহ

ফখর জামানের বিরুদ্ধে শরীফুল ইসলাম এলবিডব্লুর আবেদন করতেই আঙুল তুললেন আম্পায়ার। ফখর কিছুটা দ্বিধায়, আসলেই কি আউট! তবে সংশয় থাকলেও রিভিউ নেওয়ার সুযোগ ছিল না পাকিস্তান ওপেনারের। কারণ, এই ম্যাচে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নেই।

শুধু গতকালের ম্যাচটিতেই নয়, বাংলাদেশ-পাকিস্তান চলমান তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজেই ডিআরএস নেই। এমনকি কিছুদিন আগে শেষ হওয়া পিএসএলের শেষ দিকেও ডিআরএস ছিল না। পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর কারণেই ডিআরএস নেই। যে প্রতিষ্ঠান ডিআরএস সেবা দিয়ে থাকে, তাদের পাকিস্তানে না যেতে চাপ দিয়েছেন ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের এই সাবেক সচিব।

গত মাসে শুরু হওয়া পিএসএলের প্রথম থেকেই ডিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে। তবে চলতি মাসের প্রথম দিকে ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়ালে পিএসএল স্থগিত করা হয়। ওই সময় বিদেশি খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফের সদস্য ও সম্প্রচার ক্রুরা পাকিস্তান ছেড়ে যান। এক সপ্তাহ পর পিএসএল শুরু হলেও ডিআরএস প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা আর পাকিস্তানে ফেরেননি। ডিআরএস প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত বেশির ভাগ কর্মীই ছিলেন আবার ভারতীয়।

গত রোববার পিএসএল শেষ হওয়ার পর বুধবার শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের এই সিরিজেও ডিআরএস নেই। সামাটিভি অনলাইনে একটি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর চাপে পিএসএল ও বাংলাদেশ সিরিজে ডিআরএস প্রযুক্তি নেই।

আরও পড়ুন২০০ রান তাড়ায় এ কেমন ব্যাটিং বাংলাদেশের৪ ঘণ্টা আগে

সূত্র জানিয়েছে, যে কোম্পানি ডিআরএস প্রযুক্তির হক-আই সরবরাহ করে, তাদের পাকিস্তানে না যেতে চাপ দেওয়া হয়েছে। পরে কোম্পানিটি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) তাদের অপারগতার কথা জানায়।

হক-আই কোম্পানি পাকিস্তানে নিরাপত্তা শঙ্কা জানানোর পর পিসিবির পক্ষ থেকে পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য থাকা প্রেসিডেনশিয়াল-মর্যাদার নিরাপত্তা হক-আই স্টাফদেরও দেওয়া হবে—এমন আশ্বাসেও তাঁরা রাজি হননি।

আরও পড়ুন‘পদত্যাগ’ করতে পারেন বিসিবি সভাপতি ফারুক১৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে ডিআরএস কেন নেই, কারণ কি জয় শাহ
  • এক বছর ফেরা হাসানের কাছেই হেরে গেল বাংলাদেশ
  • বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে পাকিস্তান দলে পরিবর্তন
  • লাহোরেই পেসারদের আসল পরীক্ষা
  • ভারত–পাকিস্তান ‘যুদ্ধে’র আঁচ বাংলাদেশ–পাকিস্তান সিরিজে
  • টেইটের পিএসএল অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান সিমন্স 
  • আমিরাতের কাছে হারে ‘চাঙা’ হয়ে পাকিস্তানে বাংলাদেশের ‘সেরাটা খেলা’র আশায় সিমন্স
  • সাকিবের জন্য বাংলাদেশ দলের দরজা খোলা, বললেন বিসিবি পরিচালক
  • রিশাদে অনুপ্রাণিত লিটনরা