বিচারকের পদত্যাগ, ম্যারাডোনার ‘হত্যা মামলার’ ভবিষ্যৎ অন্ধকারে
Published: 28th, May 2025 GMT
ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তাঁর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে আদালতে বিচারকাজ চলছে। তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত আট চিকিৎসাকর্মীর মধ্যে সাতজন এ মামলায় অভিযুক্ত। বিতর্কের কারণে গতকাল এই বিচারকাজ থেকে একজন গুরুত্বপূর্ণ বিচারক সরে দাঁড়িয়েছেন। এতে আলোচিত এই বিচারপ্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ শঙ্কার মুখে পড়ল।
আরও পড়ুনএবার দেখা যাবে ‘ব্যবসায়ী’ মেসি–সুয়ারেজ জুটিকে৩ ঘণ্টা আগে‘ঈশ্বরের বিচারক’ নামে পরিচিতি পাওয়া বিচারক হুলিয়েতা মাকিনটাচ এই বিচারপ্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। মিনি সিরিজ বানাতে কয়েক মাসব্যাপী এই বিচারকাজ তিনি ক্যামেরায় ধারণ করিয়েছেন, এটা প্রকাশিত হওয়ার পর বিতর্ক শুরু হয়। মাকিনটাচের বিরুদ্ধে নৈতিকতা–সম্পর্কিত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও ওঠে। এরপর তিনি সরে দাঁড়ালেন।
মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকাকালে ২০২০ সালের নভেম্বরে ৬০ বছর বয়সে মারা যান ম্যারাডোনা। অস্ত্রোপচারের পর বুয়েনস এইরেসে একটি ভাড়া করা বাড়িতে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কৌঁসুলিরা সেখানে তাঁর চিকিৎসায় চূড়ান্ত রকম অবহেলার অভিযোগ তোলেন সাত চিকিৎসাকর্মীর বিরুদ্ধে।
প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নন্দকুঁজা নদীকে দখল-দূষণমুক্ত করার দাবি
দখল-দূষণ থেকে নন্দকুঁজা নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। বৃহস্পতিবার গুরুদাসপুর উপজেলা সদর চাঁচকৈড় গরুর হাট এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে কৃষক, মৎস্যজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে তারা নদী রক্ষার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির উপজেলা শাখার সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সমাজসেবক রাশিদুল ইসলাম, চিকিৎসক মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক আলী আক্কাস প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার উপজেলা সহসভাপতি কে.এম. রাকিবুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, ‘নন্দকুঁজা নদী শুধু একটি জলপ্রবাহ নয়, এটি আমাদের এলাকার জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। নদীর দুই পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। অবিলম্বে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে নদী দখলমুক্ত করতে হবে।’
ইউএনও ফাহমিদা আফরোজ জানান, নদী ঘিরে থাকা অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেছে। শিগগিরই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে। পৌরসভার বর্জ্য অন্যত্র ফেলা এবং অপরিচ্ছন্ন স্থানগুলো পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।