‘ফ্লেয়ার’ নামে একটি এআই মডেল তৈরি করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। নক্ষত্রের বিস্ফোরণ বা স্টেলার ফ্লেয়ারের পূর্বাভাস দেবে এটি।

চায়না একাডেমি অব সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অব অটোমেশন মঙ্গলবার (২৭ মে) এই ঘোষণা দেয়।

মডেলটি একাডেমির ইনস্টিটিউট অব অটোমেশন এবং ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অবজারভেটরিজের গবেষকদের যৌথ উদ্যোগে তৈরি। সায়েন্সওয়ান নামের একটি এআই গবেষণা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নক্ষত্রের তথ্য বিশ্লেষণ ও চৌম্বকীয় বিস্ফোরণের সম্ভাবনা নির্ধারণ করা হয়।

গবেষক চেন ইংইং জানান, নাক্ষত্রিক বিস্ফোরণ বা স্টেলার ফ্লেয়ার হলো- নক্ষত্রের চৌম্বকক্ষেত্র থেকে উদ্ভূত শক্তিশালী বিকিরণ, যা নক্ষত্রের গঠন, বিবর্তন ও বাসযোগ্য গ্রহের সম্ভাবনা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ববর্তী তথ্য ও নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে চীনের তৈরি ‘FLARE’ ওই বিস্ফোরণের সময় নির্ধারণে সহায়তা করে।

মডেলটির বিশেষ আর্কিটেকচারে রয়েছে ‘সফট প্রম্পট মডিউল’ ও ‘রেসিডুয়াল রেকর্ড ফিউশন মডিউল’, যা আলোক তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যদ্বাণীকে আরো নির্ভুল করে তোলে।

চীনা গবেষকদের ফ্লেয়ার-এর গবেষণাপত্রটি আন্তর্জাতিক এআই সম্মেলনে গৃহীত হয়েছে।

ঢাকা/হাসান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

আরো পড়ুন:

৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া

মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়

প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।

বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।

চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।

তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।

বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।

তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ