বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্র বন্দরের চ্যানেলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অবস্থানরত বানিজ্যিক জাহাজ ‌‘এমভি সেজুঁতি’ থেকে ডাকাতি হওয়া মালামালের একটি অংশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল হকসহ তিনজনকে আটক করেছে তারা। 

বুধবার (২৮ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলার অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান।

আরো পড়ুন: মোংলা বন্দরে জাহাজে ডাকাতি, ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট 

আরো পড়ুন:

রাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগ সহকর্মীর

ঈদের আগে সিরাজগঞ্জে গরু চুরির হিড়িক, আতঙ্কে খামারিরা

আটক অন্য দুইজন হলেন- সুমন হাওলাদার (২১) ও ডাকাতির মালামাল ক্রেতা মো.

সুমন হোসেন (৩০)। বর্তমানে আটককৃতদের মোংলা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

কোস্টগার্ড জানায়, উদ্ধার হওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনের বিভিন্ন ধরণের স্পেয়ার পার্টস, বিভিন্ন সাইজের বিয়ারিং, ব্যাটারি, ব্যাটারির চার্জারসহ জাহাজের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ।

কোস্টগার্ড কর্মকর্তা আবরার হাসান জানান, গত ৬-৭ মাস ধরে জাহাজটির অধিকাংশ নাবিক নিয়মিতভাবে বেতন না পাওয়ায় তাদের মধ্যে মালিক পক্ষের প্রতি তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এরই ধারাবাহিকতায় জাহাজ থেকে বিভিন্ন সময় মেশিনারিজ পার্টস বিক্রি করা হয়। চিফ ইঞ্জিনিয়ারের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে মিলে ডাকাতির এ ঘটনা সাজিয়ে মালামাল লুট করে তা বিক্রি করে অর্থ ভাগাভাগির পরিকল্পনা করা হয়।

তিনি আরো জানান, উদ্ধার হওয়া মালামাল জাহাজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান। এ ঘটনায় জাহাজ সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা ও মালিক কর্তৃক নাবিকদের বেতন বন্ধ রাখা এবং জাহাজটিকে দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকরভাবে ফেলে রাখার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা প্রয়োজন।

ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ