এই সরকারের (অন্তবর্তী সরকার) মাথা থেকে নিচ পর্যন্ত পচন ধরেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এরা আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি ক্ষতি করছে।

এই সরকার গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার ও আস্থার সরকার ছিলো উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কিন্তু নয় মাসের কার্যক্রমে এই সরকার থেকে কিছুই পাইনি। শুধু পেয়েছি অবজ্ঞা।’

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে’ বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।

মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এ নিয়ে লাভ-লোকসান দেখার দরকার নাই। আমরা যেমন ছিলাম তেমন থাকতে চাই।’

এই সরকার একটি উপনিবেশিক সরকার বলে মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, সরকারে যারা আছেন তাদের বেশির ভাগই দেশের নাগরিক নন।

দেশে ব্যাপক চাঁদাবাজি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর দোষ বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এসব চাঁদাবাজদের কেন ধরছে না, সেই প্লশ্ন তুলেছেন তিনি।

নির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ থাকবে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সরকার বলছে সংস্কার করে নির্বাচন দেবে। কিন্তু গত নয় মাসে সরকার কিছুই করতে পারেনি। তারা আগামী নয় বছরেও কিছু করতে পারবে না।’

সরকারকে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিজ উদ্যোগে একটা ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি–নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

এই সমাবেশ থেকে অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ ছাড়াও অন্যান্য নেতারা এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই সরক র ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।” 

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” 

নিরাপত্তা ইস্যু—কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না। 

“যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে,” বলেন তিনি।

আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে। 

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ