এরা আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি ক্ষতি করছে: মির্জা আব্বাস
Published: 28th, May 2025 GMT
এই সরকারের (অন্তবর্তী সরকার) মাথা থেকে নিচ পর্যন্ত পচন ধরেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এরা আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি ক্ষতি করছে।
এই সরকার গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার ও আস্থার সরকার ছিলো উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কিন্তু নয় মাসের কার্যক্রমে এই সরকার থেকে কিছুই পাইনি। শুধু পেয়েছি অবজ্ঞা।’
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে’ বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এ নিয়ে লাভ-লোকসান দেখার দরকার নাই। আমরা যেমন ছিলাম তেমন থাকতে চাই।’
এই সরকার একটি উপনিবেশিক সরকার বলে মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, সরকারে যারা আছেন তাদের বেশির ভাগই দেশের নাগরিক নন।
দেশে ব্যাপক চাঁদাবাজি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর দোষ বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এসব চাঁদাবাজদের কেন ধরছে না, সেই প্লশ্ন তুলেছেন তিনি।
নির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ থাকবে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সরকার বলছে সংস্কার করে নির্বাচন দেবে। কিন্তু গত নয় মাসে সরকার কিছুই করতে পারেনি। তারা আগামী নয় বছরেও কিছু করতে পারবে না।’
সরকারকে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিজ উদ্যোগে একটা ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি–নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
এই সমাবেশ থেকে অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ ছাড়াও অন্যান্য নেতারা এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস