আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 28th, May 2025 GMT
আড়াইহাজারের গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ছাইদুল হক (৬২) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার সন্ধ্যার পর গোপালদী বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ছাইদুল হক বিশ নন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও গাজীপুরা গ্রামের মৃত হাবিবুল্লাহর ছেলে।
গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আমিনুল হক জানান, গ্রেপ্তারকৃত ছাইদুল হক আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। গোপনে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ের খবরে ক্ষুব্ধ, সাবেক প্রেমিকাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত ছাত্রলীগ নেতার
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। ছেলেটি ছাত্রলীগের নেতা, বর্তমানে আত্মগোপনে। মেয়েটি করেন শিক্ষকতা। এ অবস্থায় সাবেক প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে ছুটে এসে এলোপাতাড়ি ছুরি মেরেছে ছেলেটি। এরপর তিনি নিজের শরীরও ক্ষতবিক্ষত করেছেন।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। দুজনই সিলেটের দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেয়েটির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় গতকাল রাতেই অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ (২৮) সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তাঁর গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের নৌকাখালী গ্রামে। সুনামগঞ্জের একটি উপজেলার বাসিন্দা মেয়েটিও (২৬) তখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। সেখানেই তাঁদের পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পড়াশোনা শেষে মেয়েটি এখন তাঁর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। কিন্তু মাঝখানে দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। সঞ্জীবন গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন। এর মধ্যেই মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু মেয়ে ও তাঁর পরিবার তাতে রাজি হয়নি।
পারিবারিকভাবে অন্য একটি ছেলের সঙ্গে আগামী রোববার মেয়েটির বিয়ের দিন ঠিক করা ছিল। এ জন্য মেয়েটি উপজেলা থেকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরে তাঁর ভাইয়ের বাসায় আসেন। এখানেই বিয়ের আয়োজন চলছিল। গতকাল বিকেলে মেয়েটি তাঁর বৌদিকে সঙ্গে নিয়ে শহরের হাসননগর এলাকার একটি পারলারে যান। পারলারে ঢোকার আগেই সঞ্জীবন সামনে এসে দাঁড়ান। মেয়েটিকে একটু আড়ালে নিয়েই এলোপাতাড়ি ছুরি মেরে চলে যান তিনি। পরে আশপাশের লোকজন মেয়েটিকে আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে রাতেই তাঁকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সঞ্জীবন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে চলে যান শহরের ধোপাখালী শশ্মানঘাট এলাকায়। সেখানে তিনি নিজের শরীরে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। তখন আশপাশের লোকজন তাঁকে ধরে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মেয়েটির এক চাচাতো ভাই চিকিৎসক। তিনি জানান, তাঁর বোনের শরীরে ধারালো ছুরির ১০টি আঘাতের চিহ্ন আছে। এর মধ্যে ৯টিই গভীর ক্ষত। সুনামগঞ্জ থেকে প্রথমে তাঁকে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মেয়েটির পরিবারের আরেক সদস্য জানান, সঞ্জীবন তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছিলন। তাঁর (সঞ্জীবন) পরিবারকে জানানোর পরও তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিবুর রহমান জানান, ঘটনার পর সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থকে আটক করা হয়েছে। তিনি এখন পুলিশি হেফাজতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।