দুর্নীতি-অপশাসন শুধু দেখিনি বরং তার অংশও ছিলাম: বাঁধন
Published: 1st, June 2025 GMT
আওয়ামী লীগ সরকারের অনেকের সঙ্গে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের ভালো সম্পর্ক ছিল। এমনকি দলটির নির্বাচনী প্রচারণাও দেখা গেছে তাকে। ফলে তাদের কার্যক্রম খুব কাছে থেকে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন এই অভিনেত্রী। তাই জাতীয় নির্বাচনে অতীতের মতো রাজনৈতিক প্রকৌশল বা কারসাজি না করার আহ্বান জানিয়েছেন বাঁধন।
আজ সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন ঘিরে যে দুর্নীতি ও অপশাসন চালানো হয়েছে, আমি তা শুধু দেখিনি, বরং তার অংশও ছিলাম।”
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় সরাসরি যুক্ত থাকা এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের খুব কাছাকাছি থাকায় তিনি নিজ চোখে দেখেছেন কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং কীভাবে প্রশাসনিক কাঠামো দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল।
তিনি বলেন, ‘শাসক দল তখন প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে, যা ছিল চরম অনৈতিক এবং অন্যায়। এতে জনআস্থার ভাঙন দেখা দিয়েছে, গণতন্ত্র দুর্বল হয়েছে এবং আমাদের ভবিষ্যতের উপর এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়েছে।’
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার তিনি ভিন্ন কিছু প্রত্যাশা করছেন। তার ভাষায়, ‘এইবার সরকার যদি নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও দায়িত্ববোধের ভিত্তিতে পথ বেছে নেয়, তাহলে তা হবে একটি প্রকৃত পরিবর্তনের সূচনা। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু একটি দাবি নয়, এটি এই সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী ও অর্থবহ উপহার হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্বচ্ছতা চাই। আমরা জবাবদিহিতা চাই। আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ চাই, যা সত্যের ভিত্তিতে গঠিত হবে, প্রভাব ও কারসাজির মাধ্যমে নয়।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হাসান খন্দকার (৩৮) উপজেলার নিহালপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য প্রচারের হুমকি দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
শিবালয় থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, প্রায় এক মাস ধরে হাসান ভুক্তভোগীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে জানাচ্ছেন, তাঁর কাছে নারীর আপত্তিকর কিছু ভিডিও ও ছবি আছে। ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে এসব ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে গিয়ে হাসান আবার হুমকি দেন। ওই নারী এত টাকা দিতে অস্বীকার করলে হাসান তাঁর বাড়ির দরজা ও জানালা ভাঙচুর করেন। চাহিদামতো টাকা না দিলে ফেসবুকে আপত্তিকর ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। এর পর থেকে ম্যাসেঞ্জারে নিয়মিত একই হুমকি দিচ্ছিলেন হাসান।
এ ঘটনায় গত রোববার রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে হাসানকে আসামি করে শিবালয় থানায় মামলা করেন। গতকাল সোমবার ভোরে পুলিশ উপজেলার ডাক্তারখানা এলাকা থেকে হাসানকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবালয় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ওই যুবকের বিরুদ্ধে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। সোমবার বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।