কোরবানির গরু নিয়ে ফেরার পথে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে নিহত ১
Published: 3rd, June 2025 GMT
কক্সবাজারের রামুতে কোরবানির গরু নিয়ে ফেরার পথে ডাকাত দলের ছুরিকাঘাতে পারভেজ (১৬) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
সোমবার (২ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ফরেস্ট অফিস এলাকায় ডাকাতরা এ হামলা চালায়।
নিহত পারভেজ ওই ইউনিয়নের ফুলনিরচর এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে।
আহতরা হলেন, দক্ষিণ চাকমারকুল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলী হোসেন শিকদার পাড়ার আহমদ হোসেনের ছেলে ফোরকান এবং একই এলাকার আহমদ হোসেন।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, কয়েকজন ব্যক্তি গর্জনিয়া বাজার থেকে কোরবানির গরু নিয়ে ফেরার পথে ফরেস্ট অফিস এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একদল ডাকাত তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ডাকাতদের একজনকে ধরে ফেললে তাকে ছিনিয়ে নিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় দলটি।’’
তিনি আরও জানান, হামলায় গুরুতর আহত তিনজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত চলছে, প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/তারেকুর/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ব্যাখ্যা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল নিয়ে প্রকাশিত সংবাদকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বুধবার দুপুরে 'সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস'এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং দুই মন্ত্রী মো. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল বলে সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক ও কালেরকন্ঠসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।'
এতে আরও বলা হয়, 'মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যারা পরিচালনা করেছে, তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। তিনি জানান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে এই নয় যে, তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। তিনি জানান, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে।'