‘দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে লিভ-ইন করছি’
Published: 4th, June 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জু অরবিন্দ। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে বড় পর্দায় পা রাখেন। মালায়ালাম সিনেমার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী পর্দা শেয়ার করেছেন রজনীকান্ত, মোহনলালের মতো বরেণ্য অভিনেতার সঙ্গে।
অভিনয়ে খ্যাতি কুড়ানোর পাশাপাশি নৃত্যশিল্পী হিসেবেও সুনাম রয়েছে অঞ্জুর। কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন ঝলমলে নয়। একাধিক বিয়ে করেও সংসারী হতে পারেননি। এখন লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন এই অভিনেত্রী। তামিল একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জীবনের স্পর্শকাতর অংশ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন অঞ্জু।
সংসারী হওয়ার জন্য বিয়ে করেছিলেন অঞ্জু অরবিন্দ। কিন্তু দুঃখ তার পিছু ছাড়েনি। এ বিষয়ে ৪৬ বছরের অঞ্জু বলেন, “আমার প্রথম বিয়ে ডিভোর্সের মাধ্যমে শেষ হয়। দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু আমার স্বামী মারা যান।”
আরো পড়ুন:
‘স্যার আপনার সঙ্গে সময় কাটাতে চান’
মুক্তির আগেই বিজয়ের শেষ সিনেমার আয় ২৫১ কোটি টাকা!
এখন লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন অঞ্জু অরবিন্দ। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি পাঁচ বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছি। আমার সঙ্গীর নাম সঞ্জয় আম্বালা পরমবাথ। গত পাঁচ বছর ধরে আমরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি।”
ক্লাশ এইটে পড়াকালীন নাচ শিখতেন অঞ্জু। নাচের ক্লাসে পরিচয় হয় সঞ্জয়ের সঙ্গে। তার ভাষায়— “সঞ্জয় আমার প্রথম ক্রাশ।” এরপর আর যোগাযোগ ছিল না তাদের। সময় আবার সঞ্জয়-অঞ্জুকে এক করেছে।
বেঙ্গালুরুতে ‘অঞ্জু অরবিন্দ ড্যান্স একাডেমি’ নামে একটি নাচের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন সঞ্জয়। তার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে, যে কলেজে পড়াশোনা করছে। অঞ্জুর মতে— “আমাদের প্রেম কাহিনি নিয়ে একটি সিনেমা নির্মাণ সম্ভব।”
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র অরব ন দ ল ভ ইন
এছাড়াও পড়ুন:
হামফ্রে ফেলোশিপ–ডাড স্কলারশিপ–আইডিবির প্রশিক্ষণ, আবেদন শেষ ৩১ জুলাই
আমেরিকা হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ, জার্মান সরকারের ডাড হেলমুট-শ্মিট মাস্টার্স স্কলারশিপ এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশন ওয়াক্ফ আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ে আবেদন চলছে। তিনটির আবেদনের সুযোগ আছে আর দুদিন। আগামীকাল ৩১ জুলাই শেষ হবে হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ, ডাড হেলমুট-শ্মিট মাস্টার্স স্কলারশিপ এবং আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের। আবেদনের পদ্ধতিসহ জেনে নিন এসব বৃত্তি ও ফেলোশিপের বিস্তারিত তথ্য।
১. হামফ্রে ফেলোশিপ: মাসিক ভাতাসহ ১০ মাস আমেরিকায় পড়াশোনার সুযোগ
১০ মাসের হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপে বেসরকারি সংস্থাসহ সরকারি ও বেসরকারি খাতে পেশাজীবীরা আবেদন করতে পারবেন।
ফেলোশিপের সুযোগ-সুবিধা—নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ টিউশন ফি দেওয়া হবে;
প্রয়োজন হলে প্রাক্-একাডেমিক ইংরেজি ভাষা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে;
জীবনযাত্রার ব্যয় ভাতা;
এককালীন সেটলিং ভাতা;
দুর্ঘটনা ও অসুস্থতাজনিত ব্যয় ভাতা;
বই কেনার খরচ;
কম্পিউটার কেনার জন্য এককালীন ভাতা;
বিমান ভ্রমণ ভাতা (প্রোগ্রামের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ইভেন্টে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ;
ফেলোশিপের জন্য প্রয়োজনীয় পেশাদার উন্নয়ন ভাতা যেমন ফিল্ড ট্রিপ, পেশাদার পরিদর্শন ও সম্মেলন।
আরও পড়ুনএসএসসি উত্তীর্ণদের শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, মাসে আড়াই হাজার টাকা, মিলবে ২ বছর১৩ জুলাই ২০২৫আবেদনকারীর যোগ্যতা—আবেদনকারীকে অবশ্যই তরুণ ও মধ্য পর্যায়ের নেতৃত্বশীল পদে থাকা পেশাজীবী হতে হবে, যার জনসেবায় দৃষ্টান্তমূলক কাজ ও পেশাগত জীবনে অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন, এমন কেউ আবেদন করতে পারবেন না
পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে চার বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার সনদ থাকতে হবে
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জনের পর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ বছর পূর্ণকালীন কাজ করার পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (২০২৫ সালের আগস্টের আগে) এবং তাঁদের শিক্ষা ও কাজসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের নীতিগত দিকগুলোয় আগ্রহ থাকতে হবে
শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা একাডেমিক গবেষক এই ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না। তাঁদের অবশ্যই ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (ব্যতিক্রম হিসেবে বিবেচিত হবেন যদি কেউ বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখানোর দায়িত্ব পালন করেন)।
২০২৬ সালের আগস্টের আগে সাত বছরের মধ্যে আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্নাতক স্কুলে এক শিক্ষাবর্ষ বা তার বেশি সময়ের জন্য লেখাপড়ায় অংশ নিয়ে থাকলে তিনি এই ফেলোশিপের জন্য অযোগ্য হবেন।
২০২৬ সালের আগস্টের আগে পাঁচ বছরের মধ্যে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি এই ফেলোশিপের জন্য যোগ্য হবেন না।
ইংরেজি লেখা ও কথা বলা উভয় ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে এবং টোয়েফল স্কোর (ইন্টারনেটভিত্তিক) হতে হবে। প্রার্থীদের যাঁদের টোয়েফল স্কোরের বৈধ মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাঁদের নির্বাচনপ্রক্রিয়া শেষে টোয়েফল পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। (আমেরিকান সেন্টার কেবল নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য টোয়েফল পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে।)
আবেদনকারীকে অবশ্যই ফেলোশিপের জন্য নির্ধারিত প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও প্রতিশ্রুতি দেখানোর পাশাপাশি এ কথাও জানাতে হবে যে তিনি কীভাবে এই ফেলোশিপ থেকে উপকৃত হবেন, যা তিনি আগে কখনো হননি এবং হামফ্রে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাড়া এমন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ তাঁর নেই।
ফেলোশিপ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে।
ফাইল ছবি প্রথম আলো