পাল্টা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভিসা প্রদান স্থগিত করল চাদ
Published: 5th, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে আফ্রিকার দেশ চাদ। বৃহস্পতিবার দেশটি এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এর আগে চাদসহ ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে চাদের প্রেসিডেন্ট মাহামাত ইদ্রিস ডেবি ইতনো নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘চাদের দেওয়ার মতো না কোনো উড়োজাহাজ আছে, না আছে শতকোটি ডলার দেওয়ার সামর্থ্য; তবে চাদের আছে আত্মমর্যাদা ও গর্ব।’
এর আগে স্থানীয় সময় বুধবার এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী সোমবার থেকে এটি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকেরা।
ট্রাম্প আরও সাতটি দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। দেশগুলো হলো বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। তবে এসব দেশের নাগরিকদের জন্য কিছু ‘সাময়িক কাজের ভিসা’ দেওয়া হবে।
এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে নিজের প্রথম মেয়াদের অন্যতম বিতর্কিত পদক্ষেপের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। কলোরাডোতে ইহুদিদের একটি র্যালিতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনার জেরে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ওভাল অফিস থেকে ‘এক্স’-এ পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প নিজেই তা জানিয়েছেন।
ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প আরও বলেন, ‘বিদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আমাদের দেশের জন্য কতটা চরম বিপদের জন্ম দিয়েছে, কলোরাডোর সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সেটাই তুলে ধরেছে। আমরা তাদের চাই না।’
আরও পড়ুনট্রাম্প ১২টি দেশের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নতুন করে কেন নিষেধাজ্ঞা দিলেন১০ ঘণ্টা আগেকলোরাডোর বোল্ডারে স্থানীয় সময় গত রোববার দুপুরের ওই ঘটনায় হামলাকারীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছিল পুলিশ। তিনি মিসরের নাগরিক। এ পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্প ওই ঘটনার কথা উল্লেখ করলেও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশগুলোয় মিসরের নাম নেই।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
জানুয়ারির মধ্যে সরকার নির্বাচন দিতে পারত: সালাহউদ্দিন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করেছেন তাতে জাতির আশা পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার (৬ জুন) রাতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করা হয়েছে তাতে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ৫০-এরও অধিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। সরকার চাইলে সর্বোচ্চ জানুয়ারি মধ্যে নির্বাচন দিতে পারত, তবে সেটা করা হয়নি। বাংলাদেশের অধিকাংশ দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছিল।”
আরো পড়ুন:
চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল
ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির সুমহান বার্তা নিয়ে আসে ঈদ: তারেক রহমান
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বক্তব্যে তিনি ঘোষণা করেন আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে।”
প্রতিক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের বন্দর ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ব্যাখ্যারও সমালোচনা করেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, “বিদেশিদের কাছে বন্দর দেওয়ার বিষয়ে তিনি নানা যুক্তি দেখিয়েছেন। এটার জন্য সব দলের সঙ্গে আলাপ করা দরকার।”
ঢাকা/এসবি