ইংল্যান্ড সফরে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক শুভমান গিল। হেডিংলি ও এজবাস্টনে প্রথম দুই টেস্টে করেছেন ৫৮৫ রান, গড় ১৪৬.২৫। এর মধ্যে রয়েছে দুটি সেঞ্চুরি ও একটি ডাবল সেঞ্চুরি। ব্যাটিংয়ে যেমন ছন্দে, নেতৃত্বেও পেয়েছেন প্রশংসা। বিশেষ করে এজবাস্টনে তার ২৬৯ ও ১৬১ রানের ইনিংস দুটি সিরিজে সমতা ফেরাতে বড় ভূমিকা রেখেছে।

তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘটে যায় একটি বিতর্কিত ঘটনা, যা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করতে ড্রেসিংরুম থেকে সরাসরি মাঠে আসেন গিল। কিন্তু তখন তার গায়ে ছিল নাইকি ব্র্যান্ডের কালো স্ট্রেচ টি-শার্ট। আর এখানেই বিপত্তি।

ভারতীয় দলের অফিসিয়াল কিট স্পন্সর অ্যাডিডাস। ২০২৩ সালের মে মাসে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে ২৫০ কোটি রুপির চুক্তি করে অ্যাডিডাস, যা বলবৎ থাকবে ২০২৮ সাল পর্যন্ত। চুক্তি অনুযায়ী, মাঠে বা খেলার সংলগ্ন সময়ে খেলোয়াড়রা অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডের পোশাক পরতে পারবেন না।

শুভমান গিল ব্যক্তিগতভাবে নাইকির শুভেচ্ছাদূত হলেও জাতীয় দলের জার্সিতে তার সেই পরিচয় প্রকাশ করা নিয়মবহির্ভূত। বিসিসিআই ধারণা করছে, তাড়াহুড়ার কারণে হয়তো নিয়মটি ভুলে গিয়েছিলেন গিল। তবুও বিষয়টিকে হালকাভাবে নিচ্ছে না বোর্ড, তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হতে পারে।

ঘটনাটি অ্যাডিডাসের নজরে এলে তারা চাইলে বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এমনকি চাইলে চুক্তিও বাতিল করে দিতে পারে, যার ফলে পুরো ২৫০ কোটি রুপি ক্ষতি হতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। চুক্তি বাতিল না করলেও, ক্ষতিপূরণ বা জরিমানা দাবি করতে পারে অ্যাডিডাস।

তবে বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ভারতের বিশাল বাজার ধরে রাখার স্বার্থে অ্যাডিডাস হয়তো এই ঘটনার জেরে কড়া পদক্ষেপ নেবে না। সতর্কবার্তা দিয়েই হয়তো মীমাংসার পথে হাঁটবে তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ভমন গ ল

এছাড়াও পড়ুন:

উপদেষ্টাকে দুর্গত এলাকা সফর ক‌রে ব্যবস্থা নেওয়ার দা‌বি এবি পার্টির

দুর্যোগ ব‍্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীকের সাথে সাক্ষাৎ করে সাম্প্রতিক বন্যায় উদ্বেগ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সচিবালয়ে উপদেষ্টার দপ্তরে দেখা করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এই অনুরোধ জানান।

এই সময় ফেনী জেলার সদর উপজেলা, পরশুরাম, ফুলগাজী ও সোনাগাজী এবং নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও পিরোজপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল এবং আকস্মিক বন‍্যা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে, দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

মজিবুর রহমান মঞ্জু ত্রাণ উপদেষ্টাকে দুর্যোগ কবলিত এলাকা পরিদর্শনের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “গত বছরের বন্যার পর যথাসময়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারলে এবার আকস্মিক বন্যার কবলে পড়তে হত না।”

মুছাপুর ক্লোজার এবং বল্লামুখা বাঁধ পুনর্নির্মাণে সরকারের অবস্থান জানতে চান মঞ্জু। এছাড়া পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত ও বাধাহীন করার ওপর গুরুত্ব দেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ও বন্যা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অনিয়ম হলে সেগুলো তদন্ত করে বের করা দরকার।”

২৪শের বন্যার পর সরকারের বরাদ্দ দেওয়া বিপুল অংকের টাকা যথাযথভাবে কাজে লাগানোর নিশ্চয়তা চান এবি পার্টির চেয়ারম্যান।

জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতায় কোন ঘাটতি নেই, উপজেলা পর্যায়ে যথেষ্ট ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে।”

তিনি জেলা প্রশাসকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান। বাকি দাবিগুলোর সাথে একমত পোষণ করে উপদেষ্টা বলেন, “এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বৃষ্টি কমে আসলে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে প্রয়োজনীয় পুনর্বাসন কার্যক্রম হাতে নেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি। যাদের কৃষি জমি ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে ক্ষতিপূরণের বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ