চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) বা দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ বোর্ডে সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৯৪৮ জন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় এ ফল প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২০২৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। সে হিসাবে পাসের হার অনেক কমেছে।
আরো পড়ুন:
এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ৬৮.
দুই মাসের কম সময়ে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ: শিক্ষা উপদেষ্টা
ঢাকা/হাসান/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এসএসস র ফল এসএসস ও সমম ন প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
স্বপ্নপূরণের পথে এক ধাপ এগোল মহির
বয়স যখন সবে তিন মাস, তখন টাইফয়েডে আক্রান্ত হয় মহির উদ্দিন। এতে দৃষ্টিশক্তি হারায় সে। তবে এতে দমে যায়নি। মনের জোরে দৃষ্টিহীনতাকে জয় করে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে সে। এবারের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে মহির।
মহির উদ্দিন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পূর্ব শুখানপুকুরী গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে। প্রতিকূলতার মধ্যেও তার স্বপ্ন, শিক্ষাজীবন শেষে প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই স্বপ্নপূরণের পথে এক ধাপ এগোল সে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দৃষ্টিশক্তি হারালেও ছেলে মহিরকে লেখাপড়া শেখানোর ইচ্ছা ছিল কৃষক মিলনের। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুখে মুখে পড়াতে শুরু করেন তিনি। সেসব পড়া মহিরও দ্রুত রপ্ত করে ফেলত। পরে ছেলেকে বাড়ির পাশের পূর্ব শুখানপুকুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন মিলন। সেখানে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে মহির। ২০১৭ সালে তাকে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেওয়া হয়। এরপর একের পর এক শ্রেণি পেরিয়ে যেতে থাকে সে। এবারে শ্রুতলেখকের সাহায্যে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেয় মহির। শ্রুতলেখকের দায়িত্ব পালন করেছে মহিরের ছোট ভাই মাসুদ রানা।
আজ বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে সে জিপিএ ৩ দশমিক ৬৭ পেয়েছে।
মিলন হোসেন বলেন, ‘ওর (মহির) ফলাফলে আমি কী যে খুশি, এটা বোঝাতে পারব না। যতই কষ্ট হোক, ওর লেখাপড়া আমি চালিয়ে নিতে যা করার করব।’
মহিরের ছোট ভাই মাসুদ রানা বলে, ‘ভাইয়ের হয়ে পরীক্ষায় লেখেছি। ভাই পাস করায় শান্তি লাগছে।’
মহির বলে, ‘লেখাপড়া শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে চাই। শেষে চাকরি করে মা-বাবার ঋণ শোধ করার চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুনদুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে দৃষ্টিহীন মহির১৭ এপ্রিল ২০২৫