গত ৮ জুলাই, করাচির ডিফেন্স হাউজিং অথরিটির একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পাকিস্তানি মডেল-অভিনেত্রী হুমায়রা আজগর আলীর পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দিতে চাইলে তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান অভিনেত্রীর বাবা ডা. আজগর আলী। পাকিস্তান টুডে এ খবর প্রকাশ করেছে।  

এ বিষয়ে এসএসপি মাহরুজ আলী জানান, ২০২৪ সালের শুরু থেকে অ্যাপার্টমেন্টটির ভাড়া দেন না হুমায়রা আজগর আলী। এখানে একা বসবাস করতেন, কারো সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না। অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধারের পর তার পরিবারকে খুঁজে বের করেন পুলিশ। কথা বলেন অভিনেত্রীর বাবা ডা.

আজগর আলী (আর্মির প্রাক্তন চিকিৎসক) ও তার ভাইয়ের সঙ্গে। কিন্তু হুমায়রা আজগরের বাবা কন্যার মরদেহ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান।  

হুমায়রার বাবা আজগর আলী বলেন, “আমরা অনেক আগেই তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। তার মৃতদেহ নিয়ে যা ইচ্ছা করুন। আমরা তা গ্রহণ করব না।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে: জেনারেল চৌহান

অভিনেত্রীর পচাগলা মরদেহ উদ্ধার

গত মঙ্গলবার রাতে হুমায়রা আজগর আলীর মরদেহের পোস্টমর্টেম সম্পন্ন হয়। তবে এখনো মৃত্যুর কারণ প্রকাশ করেনি পুলিশ। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তারা রাসায়নিক বিশ্লেষণের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে। মৃতদেহটি এখন হিমাগারে রাখা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে ধারণা করছে পুলিশ। 

এর আগে এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, ইত্তেহাদ কমার্শিয়ালের একটি ফ্ল্যাট থেকে হুমায়রা আজগর আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহটি ৩২ বছর বয়সি অভিনেত্রী হুমায়রার বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে মারা গিয়েছেন তিনি।

ডিআইজি সৈয়দ আসাদ রাজা পাকিস্তানি গণমাধ্য ডনকে বলেন, “আদালতের নির্দেশে গিজরি পুলিশ অ্যাপার্টমেন্টটি খালি করার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে পুলিশ দরজায় কড়া নাড়লে কেউ সাড়া দেয়নি। এরপর তালা ভেঙে পুলিশ অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করে এবং তার মৃতদেহটি দেখতে পায়। এ অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়া থাকতেন অভিনেত্রী হুমায়রা।”  

টিভি রিয়েলিটি শো ‘তামাশা ঘরে’-এ অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হুমায়রা। ২০১৫ সালে তার অভিনীত ‘জালাইবি’ সিনেমা মুক্তি পায়। এ সিনেমা তাকে খ্যাতি এনে দেয়।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র অ য প র টম ন ট র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

‘আ.লীগের কার্যক্রম নেই, তাই বিএনপিতে যোগ দিলাম’

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন তিন নেতা।

তারা হলেন- উপজেলার পশারগাতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান ফকির, ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির ফকির ও সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী মীর।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে আজগর আলী মীরের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগদানের ঘোষণা দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পশারগাতি ইউনিয়ন বিএনপির উপদেষ্টা সালমিন মিয়া, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোতাচ্ছের কাজীসহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।

বিএনপিতে যোগ দেওয়া হাফিজুর রহমান ফকির বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগে থাকাকালীন আমরা যেমন সুসংগঠিতভাবে দল করেছি, সেভাবে আমরা সেলিমুজ্জাম সেলিমের নেতৃত্বে বিএনপির পক্ষে কাজ করে যাব ইনশাল্লাহ।’’

আজগর আলী মীর বলেন, ‘‘আগে যেই দল করেছি, ওই দলের কার্যক্রম নেই। তাই অব্যাহতি নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছি।’’

পশারগাতী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোতাচ্ছের কাজী বলেন, ‘‘তারা তিনজন আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিয়েছে। আমরা উপস্থিত ছিলাম।’’

ঢাকা/বাদল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম, নিচ্ছিলাম শেষবিদায়’
  • ‘আ.লীগের কার্যক্রম নেই, তাই বিএনপিতে যোগ দিলাম’