২৪ নং ওয়ার্ডে পানির জন্য হাহাকার
Published: 10th, June 2025 GMT
বন্দরে নাসিক ২৪ নং ওয়ার্ডে ঈদের আগের দিন থেকে খাবার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। ওয়াসার পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় পানির অভাবে সকলের খাবার পানিসহ গোসল এবং দৈনন্দিক কাজে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বাসিন্দাদের।
মানুষ নিরাপায় হয়ে নদীতে গিয়ে নোংরা পানিতে গোসল সারছেন। এতে করে অনেকের শরীরে চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে। অবশেষে ঈদের ২দিন পর গাড়ি দিয়ে সামান্য পানি মহল্লায় দিলেও বৃহত্তম জনগোষ্ঠি পানি থেকে বঞ্চিত।পানির অভাবে সকলে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, পাম্প বিকল হওয়ায় পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না তাই বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েছে। তবে গাড়ি দিয়ে খাবার পানি দেয়া হচ্ছে। সরকারি ছুটি থাকায় পাম্প মেরামত করা যাচ্ছে না। ছুুটি শেষে হলেই পাম্প মেরামত করে পানি সরবরাহ পুনরায় চালু করা হবে।
এ ব্যপারে গাড়ি দিয়ে পানি সরবরাহকারী ইকবাল বরেন, নবীগঞ্জ পাম্পটি বিকল হওয়ায় ২৪নং ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে ২/৩ দিনের মধ্যে পাম্প মেরামত হলেই পানির সমস্য দুর হয়ে যাবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ সরবর হ
এছাড়াও পড়ুন:
এডিবির নেতৃত্বে টেকসই ধান উৎপাদনের উদ্যোগ
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং কনসাল্টেটিভ গ্রুপ অন ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ( সিজিআইএআর) টেকসই ও স্বল্প-কার্বন নির্গমনভিত্তিক ধান উৎপাদনে বিনিয়োগ বৃদ্ধির একটি উদ্যোগ চালু করেছে। এর লক্ষ্য এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লাখো অসহায় কৃষকের জীবনমান উন্নত করা। গেটস ফাউন্ডেশন এ কাজে সহায়তা দিচ্ছে।
এডিবির প্রধান কার্যালয় আজ সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ এ উদ্যোগের উদ্বোধন ঘোষণা করেছে। এই কার্যক্রমের আওতায় প্রথম প্রকল্পগুলো নেওয়া হবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ফিলিপাইন,কম্বোডিয়া এবং চীনে।
সিজিআইএআর হলো- একটি বৈশ্বিক গবেষণা অংশীদারিত্ব, যা কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাস, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে কাজ করে। এর মূল উদ্দেশ্য জলবায়ু সংকটের মধ্যে খাদ্য, ভূমি ও পানি ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটানো। বিভিন্ন দেশের সরকার, উন্নয়ন সংস্থা, দাতব্য সংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর সদস্য।
এডিবি জানিয়েছে, চাল এই অঞ্চলের প্রাণ। প্রতিদিন অর্ধেকেরও বেশি মানুষের খাদ্য এবং লাখ লাখ গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের জীবিকার মূল ভিত্তি। কিন্তু উৎপাদন হ্রাস, পানি সরবরাহ কমে যাওয়া এবং গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনের কারণে ধান চাষ বর্তমানে নানা চাপে রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করা গেলে খাদ্য নিরাপত্তা এবং দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণ হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেক্টর ও থিম) ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, চাল এশিয়ার খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা এ অঞ্চলের ক্যালরির এক-চতুর্থাংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্ধেকেরও বেশি সরবরাহ করে। কোটি কোটি কৃষকের জন্য চাল শুধুই খাদ্য নয়, এটি তাদের জীবিকা। কিন্তু আজ এই জীবিকা চরম আবহাওয়া ও পরিবেশগত অবনতির কারণে হুমকির মুখে। নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যোগ সহনশীল, উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প নির্গমনযুক্ত কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণ, টেকসই পানি ব্যবহার, অন্তর্ভুক্তিমূলক মূল্য শৃঙ্খল এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য পুষ্টির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে।
এডিবির বিজ্ঞপ্তিতে আরও্ জানানো হয়, ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে তারা এই কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ ১৫০ কোটি ডলার (১৮০০০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করবে, যার লক্ষ্য টেকসইভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, এবং পানি ও কার্বনের প্রভাব কমানো। এটি মে মাসে ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য ব্যবস্থা রূপান্তরের জন্য এডিবির ৪ হাজার কোটি ডলারের বৃহত্তর প্রতিশ্রুতির অংশ।
ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়ভোন পিন্টো বলেন, ‘এই যৌথ উদ্যোগ এডিবির সঙ্গে সিজিআইএআরের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও মজবুত করবে এবং ধানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও উদ্ভাবনগুলো বিস্তৃত করবে। এডিবি ও গেটস ফাউন্ডেশনের মতো অংশীদারদের সঙ্গে আমরা এশিয়ায় ধান উৎপাদনে টেকসই ও সহনশীল রূপান্তর সাধন করতে পারি এবং লাখ লাখ কৃষকের জীবন পরিবর্তন করতে পারি।’