বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু ৪৫ মিনিটে কপাল পুড়ল বাংলাদেশের, যখন সিঙ্গাপুর গোল করে এগিয়ে যায়।

লম্বা থ্রো থেকে বল বাংলাদেশের বক্সে। গোলকিপার  মিতুল মারমা বল পাঞ্চ করলেও বিপদমুক্ত হয়নি। সিঙ্গাপুরের এক খেলোয়াড় মিডফিল্ডার সং উই ইয়ংয়ের কাছ থেকে বল পাঠান। পোস্টের কাছ থেকে আলতো করে তিনি বল জালে পাঠিয়ে দলকে ১-০ করে এগিয়ে নেন।

ম্যাচের ১০ মিনিটে থ্রো থেকে সিঙ্গাপুরের গোলের জন্য বিপজ্জনক একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ১৭ মিনিটে সিঙ্গাপুরের স্ট্রাইকার ইসখন ফান্দির হেড বল আউট হয়ে যায়। ৩০ মিনিটে আবার তার কাছ থেকে প্রায় গোলের সুযোগ এসেছিল, তবে বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল এক হাতে শটটি রুখে দেন।

মিতুলের সেই সেভ থেকে উৎসাহ পেয়ে বাংলাদেশ পাল্টা আক্রমণে সিঙ্গাপুরের গোলকিপারকে একা পেয়ে যান রকিব। তবে বলের গতি বেশি হওয়ায় সিঙ্গাপুরের গোলকিপার আগে হাত দিয়ে বল আটকালে সুযোগ নষ্ট হয়। এরপর বাংলাদেশের হামজা ফ্রি-কিক পায়, যা অল্পের জন্য সিঙ্গাপুরের বার উঁচিয়ে যায়।

প্রথমার্ধের শুরুতে রাইটব্যাক শাকিল তপু বেশ কয়েকবার ওভারল্যাপ করে ওপরে উঠে ক্রস করেন। ১৮ মিনিটে অভিষিক্ত শমিত সোম দারুণ এক মাইনাস করেন, যদিও তা থেকে গোল করতে পারেননি রাকিব।। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফাহামিদুল ভালো অবস্থান থেকে শট নেন, কিন্তু তা সিঙ্গাপুরের ডিফেন্ডার ব্লক করেন।

ভুটান ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচে হামজাকে বেশি সময় রক্ষণে দেখা গেছে, কারণ সিঙ্গাপুর ছোট ছোট পাসে আক্রমণ তৈরি করছিল এবং বাংলাদেশের রক্ষণে ফাঁক দেখা দিচ্ছিল। তুল্যমূল্য বিচারে এই অর্ধে এগিয়ে রাখতে হবে সিঙ্গাপুরকে।

ভুটান ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের একাদশে তিনটি পরিবর্তন এসেছে। রাইটব্যাকে তাজ উদ্দিনের জায়গায় শাকিল তপু, মাঝমাঠে জামাল ও সোহেল রানার পরিবর্তে মোহাম্মদ রিদয় ও শমিত সোম খেলেন।

সিঙ্গাপুরের শক্তি বিবেচনায় কোচ মোহাম্মদ রিদয়কে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে রেখেছেন। তবে ভুটান ম্যাচের মতো সিঙ্গাপুরের দলে প্রথাগত স্ট্রাইকার না থাকার অভাব আবারও স্পষ্ট হয়েছে। গোল করার জন্য যে একজন নাম্বার নাইন দরকার, তা এই ম্যাচে আবারও ভালোভাবে বোঝা গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: লক প র

এছাড়াও পড়ুন:

বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় চাটমোহরে দু’জনকে জরিমানা

যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেয়ে চাটমোহরের দুটি বাস কাউন্টারে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি দল। বুধবার রাত ১০টায় পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেওয়া হয়।

ঢাকাগামী যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে শাহজাদপুর ট্রাভেলস এবং ফাতেমা পরিবহনের কাউন্টারে ভাঙ্গুড়া ক্যাম্পের লেফটেনেন্ট ইমরানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় শাহজাদপুর ট্রাভেলসের কাউন্টার থেকে লিটন ও ফাতেমা পরিবহনের কাউন্টার থেকে শরিফুলকে আটক করা হয়। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী এসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার সত্যতা পান। এর পর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাহজাদপুর ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার লিটনকে ১০ হাজার টাকা ও ফাতেমা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার শরিফুলকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক যাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন ইউএনও।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, ঢাকাগামী দুটি পরিবহনের টিকিট কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দু’জনকে জরিমানা করা হয়। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ