হালদার রেণুর দাম কেজিতে দেড় লাখ টাকা
Published: 10th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামের হালদা নদীর ডিম থেকে উৎপাদিত রেণু বিক্রি শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে এসব রেণু বিক্রি শুরু হয় বলে সংগ্রাহকরা জানিয়েছেন। এদিকে মঙ্গলবার প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের যৌথসভায় প্রতি কেজি রেণুর দাম দেড় লাখ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
প্রথম দফায় অন্তত সাড়ে ৩ কোটি টাকার রেণু বিক্রির আশা করছেন ডিম সংগ্রাহকরা। তারা জানিয়েছেন, এবার ডিম ছাড়ার মৌসুমে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে আছে। যে কারণে রুই, কাতলা, কালিবাউশ ও মৃগেল মাছই ডিম ছেড়েছে বেশি। বর্তমানে রেণু ফোটানোর অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। যদিও তারা ভিন্ন কারণে রেণু বিক্রি নিয়ে শঙ্কিত। সংগ্রাহকদের ভাষ্য, বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে রেণু উৎপাদন কেন্দ্রে যাতায়াতের রাস্তা তলিয়ে গেছে। তাই ক্রেতারা কীভাবে আসবেন এই নিয়ে তারা চিন্তায় আছেন।
ফটিকছড়ির কামাল সওদাগরসহ কয়েকজন ডিম সংগ্রাহক জানিয়েছেন, গত ২৯ মে বেলা ১১টার দিকে হালদা নদীতে মা-মাছ দুই দফায় নমুনা ডিম ছাড়ে। একই রাতে নদীর অংকুরিঘোনা থেকে কর্ণফুলীর মোহনায় অবস্থিত ছায়ারচর পর্যন্ত অন্তত ১৪টি জায়গায় ডিম ছাড়তে থাকে মা-মাছ। আনুমানিক সাড়ে পাঁচশত সংগ্রহকারী কয়েকশত নৌকায় নিয়ে প্রায় ১৪ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করেছেন।
এসব ডিম থেকে রেণু ফোটানোর কাজ শনিবার থেকে শুরু করেন সংগ্রাহকরা। সরকারি চারটি ও বেসরকারি ১২টি হ্যাচারিসহ ৬০টি মাটির কুয়ায় রেণু উৎপাদন চলছে। প্রথম দফায় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার রেণু বিক্রির প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কয়েকজন রেণু উৎপাদনকারীর অভিযোগ, একটি অসাধু চক্র কৃত্রিম রেণু বিক্রির অপচেষ্টা করছে। তারা হালদা নদীর ঐতিহ্য ও সুনাম নষ্ট করছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ফটিকছড়ি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.
হালদা গবেষক অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া সমকালকে বলেন, হালদা থেকে সংগৃহীত ডিম থেকে সম্ভাব্য রেণু উৎপাদন ও বাজারমূল্য নির্ধারণে মঙ্গলবার যৌথ সভা হয়েছে। এতে মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নৌ পুলিশ, জেলা-উপজেলা প্রশাসন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির কর্মকর্তারা অংশ নেন। সভায় প্রতি কেজি রেণুর দাম ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উৎপ দ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সাফে খেলবে না ভারত
ঢাকায় আগামী মাসের ১১ জুলাই শুরু হবে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। উদ্বোধনী দিন বাংলাদেশের মেয়েরা শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে। তবে শেষ সময়ে আসর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত।
সাফ সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ফুটবল ফেডারেশন এই টুর্নামেন্টে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সাফকে জানিয়েছে। তবে কী কারণে তারা টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে তা জানা যায়নি।
ভারত না আসায় টুর্নামেন্টটি হবে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানকে নিয়ে। চার দল হওয়ায় টুর্নামেন্টের ফরম্যাট বদলে একে অন্যের সঙ্গে দু’বার রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে খেলবে। একটি দল ছয়টি করে ম্যাচ পাবে। শীর্ষ পয়েন্টধারী দল পাবে শিরোপা।
নারী সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ভারত না আসায় ঘরের মাঠে টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের মেয়েদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়েছে। এর আগে টুর্নামেন্টটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) টুর্নামেন্টটি জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু মাঠ সংস্কারের কারণে টুর্নামেন্টটি বসুন্ধরা কিংসের ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় হবে।