বাংলাদেশ কেন পেনাল্টি পায়নি, রেফারিং নিয়ে যা বললেন কাবরেরা
Published: 11th, June 2025 GMT
ম্যাচে তখন একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। যে কোনো মুহূর্তে গোল আসবে সম্ভাবনা। ওই আক্রমণ-ঢেউয়ের মধ্যেই যোগ করার সময়ের তৃতীয় মিনিটে (৯৩তম) বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে সিঙ্গাপুর বক্সের মধ্যে ঢুকে গেলেন মোহাম্মদ ফাহিম। সঙ্গে থাকা সিঙ্গাপুর ডিফেন্ডার ইরফান নাজিব যখন বুঝলেন আর একটু সময় দিলে বল গোলমুখে চলে যাবে, প্রথমে পেছন থেকে হাত দিয়ে টানলেন এরপর সামনে পা বাড়িয়ে ফাউল করে ফেলেই দিলেন ফাহিমকে।
বক্সের ভেতরে এমন ফাউলের ক্ষেত্রে রেফারি সরাসরি পেনাল্টি কিকের বাঁশি বাজান। কিন্তু বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের রেফারি সেটা এড়িয়ে গেছেন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ম্যাচটা ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বলে রেফারির ওই সিদ্ধান্ত হয়ে উঠেছে বড় প্রসঙ্গ। রেফারি কেন পেনাল্টি দেননি, এ বিষয়ে বাংলাদেশ কোচই বা কী মনে করেন?
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বক্সে ফাহিমের ফাউলের সিদ্ধান্ত নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। এ বিষয়ে কাবরেরা বলেন, ‘ফাহিমকে ওপর যে ফাউলটা হয়েছে, পেনাল্টিটা আমি দেখিনি। তবে আমার মনে হচ্ছে এটা পরিষ্কার পেনাল্টি ছিল। তখন আমরা পুরোদমে আক্রমণে আছি। ফুল প্রেশারে খেলছিলাম, প্রথম গোলটা করার পর। যদি পেনাল্টিটা হতো, ২-২ হতো। আমি যদি ভুল না করে থাকি, ম্যাচটা অন্তত ২-২ শেষ করার সুযোগ আসত। (কেন পেনাল্টি হয়নি) আমি জানি না।’
ফাহিমের ফাউলের ঘটনার আগে বদলি নিয়েও এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। শেখ মোরছালিন ও আল-আমিন মাঠে নামবেন, কিন্তু এ নিয়ে অফিশিয়ালরা বেশ সময় ক্ষেপণ করেছেন। ওই সময় খেলা ছিল বাংলাদেশের অনুকূলে, যে সময়টায় বদলি নিয়ে দেরির জেরে খেলা বন্ধ হয়ে থাকায় ম্যাচের গতিতে ভাটা পড়া স্বাভাবিক। ওই সময় আসলে ঠিক কী ঘটেছিল, আর পুরো ম্যাচে রেফারিং নিয়ে বাংলাদেশ দলের কোচ কী বলবেন—এমন জিজ্ঞাসায় কাবরেরার উত্তর, ‘বদলি নিয়ে কিছু একটা ঘটেছিল, যেটা আমি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারিনি। আমার মনে হয়, তারা (সিঙ্গাপুর) হয়তো সময় নষ্ট করার চেষ্টা করছিল, যা স্বাভাবিক। আমি সেটা নিয়ে সমালোচনাও করছি না। তবে রেফারিরা চাইলে হয়তো সময়ক্ষেপণের ওই পরিস্থিতি আগেভাগেই থামাতে পারতেন, যাতে ম্যাচের গতি আটকে না যায়। এর বাইরে পেনাল্টি নিয়ে আবার যেটা বলার আছে, আমি দেখিনি। তবে আমার মনে হয় পেনাল্টি হয়েছিল। (ফাউল) বক্সের ভেতরেই ঘটেছিল।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক বর র
এছাড়াও পড়ুন:
তারেক রহমান অল্প সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরবেন: জাহিদ হোসেন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে আসবেন বলে জানিয়েছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, “যুক্তরাজ্যে বুধবার (১৩ জুন) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠক থেকেই দেশের মানুষ আশার বার্তা পাবেন। আমরা বলব, এটি শীর্ষ নেতাদের একটি বৈঠক।”
আরো পড়ুন:
কাদের সিদ্দিকীর বাসায় বিএনপি নেতা টুকু
রাজশাহীর ২ বিএনপি নেতা আজীবন বহিষ্কার
তিনি বলেন, “সব ধোঁয়াশা কেটে একটি সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হবে। কালো মেঘ দূর হবে, ঘাতকের বিচার হবে, দেশের পাচার হওয়া টাকা ফেরত আসবে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপি এই নেতা বলেন, “যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন বা আহত হয়েছেন, তাদের হয়তো আমরা ফিরিয়ে দিতে পারব না। তবে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আমাদের আছে। বিএনপি কখনো জনগণকে ছেড়ে যায়নি, পালিয়ে যায়নি। বিএনপি বহু নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্যেও রাজপথে থেকেছে।”
তিনি বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপি সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে। আপনাদের দুঃখ-কষ্টের কথা স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে আমরা জানব। আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনাও সবসময় দিয়ে রেখেছেন আমাদের নেতা।”
অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, “বিএনপিকে শেষ করে দেওয়ার অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমরা মনে করি, দলের চেয়ে দেশ বড়। তাই দেশের মানুষ বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমরা গণতন্ত্র ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব। গণতন্ত্রের পক্ষে হবে আগামীর বাংলাদেশ।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সহ-সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রফিক/মাসুদ