২০২৬ সালের এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আইয়র্কর বোটচওয়ে। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ যদি চায়, তাহলে আমরা সহায়তা দিতে প্রস্তুত, বিশেষ করে সংবিধান সংস্কারের জন্য সহায়তা দিতে পারলে আমরা খুশি হবো।’’ 

লন্ডনের একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।

বোটচওয়ে জানান, কমনওয়েলথের অন্যান্য প্রধান অগ্রাধিকার হলো বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা।

ঘানার নাগরিক বোটচওয়ে জানান, বর্তমানে কমনওয়েলথের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ভবিষ্যতে এটি এক ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, ‘‘অনেক কমনওয়েলথ সদস্য জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এবং তাদের মধ্যে অনেক দেশই ছোট আকারের। আমরা তাদের জলবায়ু অর্থায়নের সুযোগ করে দেয়ার চেষ্টা করবো।’’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কমনওয়েলথ মহাসচিবকে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ক্রীড়া ও যুব সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।

কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আইয়র্কর বোটচওয়ে বলেন, ‘‘ক্রীড়া শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি একটি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও। আমরা খেলোয়াড়দের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহ দিচ্ছি। ক্রীড়ার মাধ্যমে কমনওয়েলথকে স্মরণীয় করে রাখা যেতে পারে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘কমনওয়েলথের ১.

৫ বিলিয়ন জনসংখ্যা যুবক এবং তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে।’’ 

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। যেটিকে প্রধান উপদেষ্টা অগ্রাধিকার দেয়ার ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সহ য ত সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে হামলা করতে পারি, না-ও করতে পারি: ট্রাম্প

ইরানে হামলায় ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি তা বলতে পারি না।’ পরে আবার তিনি বলেন, ‘আমি করতেও পারি, না-ও করতে পারি।’ বুধবার হোয়াইট হাউজের বাইরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। খবর বিবিসির

ট্রাম্প বলেন, ইরানের আলোচকরা হোয়াইট হাউজে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে এটা কঠিন। আমি নিশ্চিত নই যে সংঘাত কতটা দীর্ঘ হবে, কারণ ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ধ্বংস হয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘দুটি খুব সাধারণ শব্দ- নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।’ ট্রাম্পের দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্য খারাপ।

এদিকে বুধবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে ইরান। দেশটি দৃঢ় থাকবে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া শান্তির বিরুদ্ধেও। 

তিনি আরও বলেন, এই জাতি চাপের মুখে কারও কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইঙ্গিত করে খামেনি বলেন, যারা ইরান ও এর ইতিহাস জানে তারা জানে, ইরানিরা হুমকির ভাষার প্রতি ভালো সাড়া দেয় না। আর আমেরিকানদের জানা উচিত, যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো সামরিক হস্তক্ষেপ নিঃসন্দেহে অপ্রতিরোধ্য পরিণতি বয়ে আনবে।

ট্রাম্পকে সতর্ক করে তিনি বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি হামলায় অংশ নেয়, তাহলে ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ