বাংলাদেশ বিমানবাহিনী মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কন্টিনজেন্টের ১২৫ জন সদস্য প্রতিস্থাপন করতে যাচ্ছে। সোমবার বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বিমানবাহিনী সদর দপ্তরে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রগামী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

সোমবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যগুলো জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমানবাহিনী প্রধান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সততা, পেশাদারি ও আন্তরিকতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী তথা দেশের সুনাম বয়ে আনতে কন্টিনজেন্ট সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

পরিশেষে তিনি মিশনের সাফল্য কামনায় আয়োজিত এক বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিমানবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, ঢাকার দুই বিমানঘাঁটির এয়ার অধিনায়ক, বিমান সদর ও ঘাঁটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সমরাস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম এবং নাইট ভিশন প্রযুক্তিসমৃদ্ধ তিনটি এমআই-১৭১ হেলিকপ্টার ও বিভিন্ন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিযুক্ত রয়েছে। সেখানে বানামুহু-৬ কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে থাকবেন এয়ার কমোডর ইমরানুর রহমান। ১৯ জুন কন্টিনজেন্টের সদস্যরা ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ