Samakal:
2025-11-02@13:17:24 GMT

এক পাশে পাহাড়, অন্য পাশে মিম

Published: 17th, June 2025 GMT

এক পাশে পাহাড়, অন্য পাশে মিম

প্রকৃতির কোলে শান্ত এক বিকেল কাটাচ্ছেন বিদ্যা সিনহা মিম। ঈদের ছুটিতে স্বামী সনি পোদ্দারকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার লীলাভূমি শ্রীলঙ্কায়। আর সেখানকার একের পর এক নয়নাভিরাম ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন এই লাক্স তারকা।

সাম্প্রতিক পোস্টে মিমকে দেখা গেছে কন্দালামা হ্রদের পাড়ে, সবুজে ঘেরা এক রিসোর্টের সুইমিংপুলে জলকেলিতে মেতে উঠতে। এক পাশে পাহাড়, অন্য পাশে নীল জলরাশি। প্রকৃতির এমন অসাধারণ আবহে নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলেছেন ‘আমার আছে জল’ খ্যাত অভিনেত্রী। ছবির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন দারুণ এক ক্যাপশন.

 “যখন প্রকৃতি তোমার হাতের তালুতে পুরোপুরি এসে যায়।” ছবির সৌন্দর্য আর ক্যাপশনের ভাব। দুটোই যেন একে অন্যের পরিপূরক।

বিদ্যা সিনহা মিমের ভ্রমণপ্রেমের কথা তার ভক্তদের অজানা নয়। গেল ঈদেও তিনি পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন থাইল্যান্ডে। এবার ভ্রমণের সঙ্গী হয়েছেন জীবনসঙ্গী।

তবে ভ্রমণে যতটা সরব, অভিনয়ে ততটাই নীরব মিম। সর্বশেষ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মুক্তিপ্রাপ্ত রায়হান রাফী পরিচালিত ‘দামাল’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল তাকে। তারও আগে, ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পারণ’ ছবির জন্য তিনি প্রশংসিত হন দর্শক-সমালোচক উভয়ের কাছে। ওই ছবির পর বেশ কিছু ছবির প্রস্তাব এলেও গল্প ও চরিত্র আকর্ষণীয় না হওয়ায় নিজেকে বিরত রেখেছেন নতুন কাজ থেকে।

তবে পর্দার বাইরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি রীতিমতো জনপ্রিয়। তার ঘোরাঘুরির ছবি, স্টাইল স্টেটমেন্ট আর ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলোতে মুগ্ধ ভক্তরা। কন্দালামা হ্রদের ওই ছবিগুলোও তার প্রমাণ।

এখন দেখার অপেক্ষা, এই সফরের স্মৃতি শেষে কখন আবার পর্দায় ফেরেন বিদ্যা সিনহা মিম।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ