ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মান্নারা চোপড়ার বাবা মারা গেছেন। সোমবার (১৬ জুন) বার্ধক্যজনিত কারণে রমন রাই হান্ডা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
বলে রাখা ভালো, অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার খালাত বোন মান্নারা চোপড়া। রমন রাই হান্ডা পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন। বাবার মৃত্যুর খবর জানিয়ে মান্নারা তার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
মান্নারা তার পোস্টে লেখেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা আমাদের বাবাকে হারিয়েছি। ১৬ জুন, বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। বাবা আমাদের পরিবারের শক্তির স্তম্ভ ছিলেন। ১৮ জুন, মুম্বাইয়ে বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।”
আরো পড়ুন:
হাউজফুল-৫: কে কত টাকা পারিশ্রমিক নিলেন?
প্রাক্তন প্রেমিক মিঠুনের জন্মদিনে যে বার্তা দিলেন মমতা
বার্ধক্যজনতি কারণে বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন রমন রাই। তবে তার অসুস্থতার নির্দিষ্ট কোনো কারণ প্রকাশ করেননি মান্নারা। রমন রাই দিল্লি উচ্চ আদালতের আইনজীবী ছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী আর দুই কন্যাকে রেখে গেছেন।
২০১৪ সালে ‘জিদ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় মান্নারা চোপড়ার। সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশের পরই আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেত্রী। সিনেমাটিতে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। যদিও এটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়।
এরপর দক্ষিণ চলচ্চিত্রে নিয়মিত হন মান্নারা। উপহার দেন ‘থিকা’, ‘রোগ’, ‘সীতা’র মতো চলচ্চিত্র। বিতর্কিত বিগ বসের ১৭তম আসরে অংশ নিয়ে খ্যাতি কুড়ান। ট্রফি জিততে না পারলেও দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র রমন র ই
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময়কে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন এর আদালত এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মফিজ উদ্দিন বলেন, কারাবন্দি চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।
২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের জেরে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। প্রতিটি মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন। এর জেরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেয় বিএনপি। ওই মামলায় চিন্ময়কে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম পুলিশর কাছে স্থানান্তর করেন।