প্রিয় বিড়ালছানার অসুস্থতায় অঝোরে কাঁদছিলেন গৃহিণী
Published: 17th, June 2025 GMT
গৃহিণী নিপা আকতার পাড়ার একটি বাড়ি থেকে ছোট্ট একটি বিড়ালছানা নিজের বাড়িতে এনে পুষছেন। আদর করে নাম দিয়েছিলেন ‘মিনি’। সেই ছোট্ট মিনির বয়স এখন এক বছর। কোথাও গেলে মিনিকে সঙ্গে রাখেন। হঠাৎ মিনির অসুস্থায় বিচলিত হয়ে পড়েন গৃহিণী নিপা আকতার।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে অসুস্থ মিনিকে কোলে নিয়ে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে আসেন নিপা। এ সময় ছোট্ট মেয়ে তাঁর সঙ্গে ছিল। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের চিকিৎসাকেন্দ্রে মিনি এক পর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে যায়। এটি দেখে নিপার দুই চোখ বেয়ে অঝোরে পানি ঝরছিল। চিকিৎসক দ্রুত এসে মিনিকে চিকিৎসা দেন। কিছুক্ষণ পর মিনি একটু সতেজ হয়। এতে নিপা ও তাঁর মেয়ে কিছুটা স্বস্তি পান।
নিপা বেগমের বাড়ি পাশের নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর জোয়ার্দ্দারপাড়া গ্রামে। তিনি দুই সন্তানের জননী। নিপা জানান, গ্রামের একটি বাড়ি থেকে এক বছর আগে বিড়ালছানা এনে নিজের বাড়িতে লালন-পালন শুরু করেন। মিনি শোবার ঘরে বিছানায় থাকে। যেখানে যান মিনিও সঙ্গে থাকে। কয়েক দিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। গ্রাম্য চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধ কিনে খাওয়ান। কিন্তু সুস্থ হয়নি। আজ সকাল থেকে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয়।
নিপা আকতার বলেন, ‘মিনিকে সন্তানের মতো ভালোবাসি। মিনির অসুস্থায় আমাকে বিচলিত করেছে। প্রাণিসম্পদ দপ্তরে এনে চিকিৎসা দিয়েছি। চিকিৎসকেরা কাল আবারও নিতে যেতে বলেছেন।’
প্রাণিসম্পদ দপ্তরে ছাগলের চিকিৎসা নিতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, একজন নারী অসুস্থ বিড়ালকে কোলে নিয়ে এসে কাঁদছিলেন। বিড়ালের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
আক্কেলপুর প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপসহকারী কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন।
দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত। তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা