পদ্মা নদীতে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন, ১২ জনের কারাদণ্ড
Published: 20th, June 2025 GMT
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মা নদী থেকে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলনের সময় ১২ ব্যক্তিকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শুক্রবার বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে তাঁদের প্রত্যেককে এই সাজা দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মুন্সিগঞ্জের মজিবর রহমান, কাদির ব্যাপারী, রাকিব মিজি, ময়নাল সরকার, মোহাম্মদ আলী মিজি, সেলিম মিজি, ভোলার মোহাম্মদ আলাওয়াল ব্যাপারী, চাঁদপুরের বাবুল মৃধা, আলাউদ্দিন, আবদুল হান্নান, লক্ষ্মীপুরের মোহাম্মদ মহিন ও বরগুনার রাসেল মৃধা। তাঁরা সবাই বালু উত্তোলন ও পরিবহনশ্রমিক। আজ তাঁদের শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জাজিরা উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। জাজিরার কুণ্ডেরচর ও পালেরচর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে আজ সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিদের সাত দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মেহেদী হাসান।
এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায় প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা নদী থেকে মাঝেমধ্যে রাতের আঁধারে একটি চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল। বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়েও বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছিল না। পরে গতকাল রাতে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় অভিযানটি পরিচালিত হয়। আটক ব্যক্তিরা বালু উত্তোলন করে বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
৩০০ আসনে এমপি প্রার্থী বাছাই করছে ইসলামী আন্দোলন
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে তিনশ আসনে প্রার্থী বাছাই কার্যক্রম শুরু করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। প্রার্থী বাছাই করতে সারা দেশ সফর করছে কেন্দ্রীয় টিম।
এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার (২০ জুন) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৩টি আসনে প্রার্থী বাছাই উপলক্ষে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে।
দিনভর তৃণমূল নেতাকর্মীদের (পুরুষ ও মহিলা ইউনিট উভয়) থেকে ব্যালটের মাধ্যমে মতামত নেওয়া হয়। তাদের মতামত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করবে।
যাত্রাবাড়ীর কাজলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওতাধীন ঢাকা-৫ আসন, দুপুর ২টায় সূত্রাপুরে ঢাকা-৬ এবং সন্ধ্যা ৬টায় বাসাব খেলার মাঠে ঢাকা-৯ আসনের বাছাই প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে বাছাই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব এমএইচ মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ।
মাওলানা ইমতিয়াজ আলম তার পৃথক ৩টি বক্তব্যে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ব্যাপকভাবে সাংগঠনিক দাওয়াতি কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, বিগত আমলে আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি থেকে এখন দেশের মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মানুষ এখন কাঙ্খিত মুক্তির জন্য আদর্শিক পরিবর্তন চায়। আর ইসলামকে বিজয়ী করা ব্যাতিত দেশে স্থায়ী শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে না।
তিনি বলেন, “সন্ত্রাস, চাদাবাজ ও দখলদারমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ঢাকাবাসীকে ইসলাম ও মানবতার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সব স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে। ভবিষ্যতেও যাতে কেউ ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতে না পারে সেজন্য ঢাকাবাসীসহ সর্বস্তরের দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি