শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মা নদী থেকে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলনের সময় ১২ ব্যক্তিকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শুক্রবার বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে তাঁদের প্রত্যেককে এই সাজা দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মুন্সিগঞ্জের মজিবর রহমান, কাদির ব্যাপারী, রাকিব মিজি, ময়নাল সরকার, মোহাম্মদ আলী মিজি, সেলিম মিজি, ভোলার মোহাম্মদ আলাওয়াল ব্যাপারী, চাঁদপুরের বাবুল মৃধা, আলাউদ্দিন, আবদুল হান্নান, লক্ষ্মীপুরের মোহাম্মদ মহিন ও বরগুনার রাসেল মৃধা। তাঁরা সবাই বালু উত্তোলন ও পরিবহনশ্রমিক। আজ তাঁদের শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জাজিরা উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। জাজিরার কুণ্ডেরচর ও পালেরচর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে আজ সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিদের সাত দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মেহেদী হাসান।

এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায় প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা নদী থেকে মাঝেমধ্যে রাতের আঁধারে একটি চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল। বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়েও বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছিল না। পরে গতকাল রাতে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় অভিযানটি পরিচালিত হয়। আটক ব্যক্তিরা বালু উত্তোলন করে বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জয়পুরহাট-২ আসন আক্কেলপুরে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত ২

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা ও দলীয় প্রার্থী আবদুল বারীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফার দুই সমর্থক আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর পৌর শহরের পৃথক দুটি স্থানে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর) আসনে সাবেক সচিব আবদুল বারীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর এই আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা আবদুল বারীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দুই দিন ধরে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরা আজ বৃহস্পতিবার আক্কেলপুর পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সকাল ১০টার পর উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হতে থাকেন তাঁরা। বেলা সাড়ে ১১টায় গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ মিছিল করার কথা ছিল। এর আগেই আবদুল বারীর পক্ষের নেতা-কর্মীরা সেখানে যান। তাঁরা তাঁদের প্রার্থীর পক্ষে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাঁরা গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করেন। এরপর গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকেরা শহরের নবাবগঞ্জ সেতুর পূর্ব পাশে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফার পক্ষের আপেল মাহমুদ ও আইয়ুব আলী আহত হন।

গোলাম মোস্তফার সমর্থক আপেল মাহমুদ বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর মাঠে থেকে বিএনপির জন্য রাজপথে গোলাম মোস্তফা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। আমরা অনেক জুলুম–নির্যাতন সহ্য করেছি। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, এবার আমাদের নেতা মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু তাঁকে বঞ্চিত করে একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ বারী সাহেবের কর্মী-সমর্থকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান।’

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইফতেখার বলেন, ‘আজ হঠাৎ করে ধানের শীষের প্রার্থীর বিপক্ষে কয়েকজন বিক্ষোভ করার চেষ্টা করছিলেন। আমরা তাঁদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। আমরা সবাই ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ আছি।’

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ