জয়পুরহাট-২ আসন আক্কেলপুরে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত ২
Published: 6th, November 2025 GMT
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা ও দলীয় প্রার্থী আবদুল বারীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফার দুই সমর্থক আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর পৌর শহরের পৃথক দুটি স্থানে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর) আসনে সাবেক সচিব আবদুল বারীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর এই আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা আবদুল বারীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দুই দিন ধরে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরা আজ বৃহস্পতিবার আক্কেলপুর পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সকাল ১০টার পর উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হতে থাকেন তাঁরা। বেলা সাড়ে ১১টায় গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ মিছিল করার কথা ছিল। এর আগেই আবদুল বারীর পক্ষের নেতা-কর্মীরা সেখানে যান। তাঁরা তাঁদের প্রার্থীর পক্ষে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাঁরা গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করেন। এরপর গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকেরা শহরের নবাবগঞ্জ সেতুর পূর্ব পাশে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফার পক্ষের আপেল মাহমুদ ও আইয়ুব আলী আহত হন।
গোলাম মোস্তফার সমর্থক আপেল মাহমুদ বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর মাঠে থেকে বিএনপির জন্য রাজপথে গোলাম মোস্তফা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। আমরা অনেক জুলুম–নির্যাতন সহ্য করেছি। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, এবার আমাদের নেতা মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু তাঁকে বঞ্চিত করে একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ বারী সাহেবের কর্মী-সমর্থকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান।’
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইফতেখার বলেন, ‘আজ হঠাৎ করে ধানের শীষের প্রার্থীর বিপক্ষে কয়েকজন বিক্ষোভ করার চেষ্টা করছিলেন। আমরা তাঁদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। আমরা সবাই ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ আছি।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ ল ব র ব এনপ র এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টারা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলকে হাতের খেলনা মনে করছেন কিছু উপদেষ্টা। তারা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। একটি মহলের চক্রান্তে পড়েছেন। এভাবে চললে এ সরকারের ব্যর্থ সরকারের পরিণত হবে।’’
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেল যশোর টাউন হল ময়নদানে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
‘পদ্মা বাঁচাও’ গণসামবেশে ১৫ নভেম্বর, যোগ দেবেন ফখরুল
এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে সভায় দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মির্জা ফখরুল আবার বলেন, ‘‘ঐক্যমত কমিশন আলোচনা আর খাওয়া-দাওয়া করেছেন। পূর্বে যে প্রস্তাবনা স্বাক্ষর হয়েছে, সেটাকে ভিন্নভাবে নতুন করে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এ সুযোগে কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এ ষড়যন্ত্র জনগণ মানবে না। নির্বাচনের আগে গণভোট হবে না।’’
সভায় তিনি আরো বলেন, ‘‘অনেক রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্টের হাত থেকে স্বাধীন হয়েছি। সুযোগ হয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে যাওয়ার। এ সুযোগ কোনো মহলের চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কারণে বিনষ্ট হতে দিতে পারি না।’’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা অনেক দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছি। এখনো রাস্তায় নামেনি। বিএনপি এই দেশের জনগণের দল, বিএনপিকে অবজ্ঞা করে দেখবেন না। রাজপথে নামলে ফল ভালো হবে না।’’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘দয়া করে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করবেন না। দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবেন না। আপনাদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এ প্রক্রিয়া জনগণ মেনে নেবে না।’’
সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টি এস আইয়ুব, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টি এস আইয়ুব, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাবিরা সুলতানা, আবুল হোসেন আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় তরিকুল ইসলামের স্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রিটন/বকুল