গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় ৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের চারমাথা মোড় এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দুজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার গাছদহ এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে হাসান (২২) ও সিরাজগঞ্জ পৌরসভার কলোনী এলাকার কুদ্দুসের ছেলে হৃদয় (৩২)।

উদ্ধারকৃতদের বরাতে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘‘ঢাকায় কাজ করতেন পাঁচ ব্যক্তি। গত রাতে গাবতলী থেকে ট্রাকে করে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা। পথে আরো কয়েকজন উঠেন। পরে তারা একসঙ্গে লুডুও খেলেন। লুডু খেলার ফাঁকে পাঁচজনকে পানীয় খাওয়ার অফার করা হয়। খাওয়ার পরই জ্ঞান হারান তারা। বৃহস্পতিবার সকালে মহাসড়কের পাশে পাঁচজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।’’

ওসি আরো বলেন, ‘‘পাঁচজন অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়েছিলেন। তাদের পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.

ফরহাদ আলী বলেন, ‘‘প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুজনকে তাদের পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছেন। বাকি তিনজন হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তারা আশঙ্কামুক্ত, তবে এখনো তাদের জ্ঞান ফেরেনি।’’

ঢাকা/মাসুম/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ব ন দগঞ জ উদ ধ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চালক মজিবলকে হত্যার পর অটোরিকশা ৯৫ হাজারে বিক্রি করা হয়: পুলিশ

মুন্সীগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ মজিবল মাঝি হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সোহাগ মোল্লা (৪৩), জয় (৩১), ইমরান (৩০), হারুন (৫১) এবং আলী হোসেন (৪০)। তাদের কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম। 

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় অটোরিকশা চালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

শত্রুতার জেরে সাত গরুকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ, মারা গেছে ৩টি

বুধবার (৫ নভেম্বর) মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে ওসি জানান, নিহত মজিবল মাঝি (৪৪) পেশায় অটোরিকশাচালক ছিলেন। তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকার লালবাগের ইসলামবাগ এলাকায় বসবাস করতেন। গত ৩১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি অটোরিকশা নিয়ে গ্যারেজ থেকে বের হন। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পর দিন তার ছেলে রাসেল লালবাগ থানায় নিখোঁজ জিডি করেন।

৩ নভেম্বর সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রতনপুর মধ্যপাড়া এলাকায় ডোবায় বিছানার চাদর ও কম্বল পেঁচানো অবস্থায় ভেসে থাকা অচেনা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের স্বজনরা এসে সেটি মজিবল মাঝির বলে শনাক্ত করেন। 

পুলিশ জানায়, নিহতের দুই হাত ও দুই পা মোটা প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, তাকে অন্যত্র হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়।

ঘটনার পর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজিব দের নেতৃত্বে চৌকস তদন্ত দল গঠন করা হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওসি এম সাইফুল আলম বলেন, ‘‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় মজিবল মাঝিকে ‘মাওয়া যাওয়ার’ কথা বলে কৌশলে পঞ্চসার ইউনিয়নের তেলেরহিল এলাকার ইমরানের ভাড়াবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে অচেতন করে ফেলা হয়। এরপর সোহাগ গলায় রশি প্যাঁচিয়ে ধরে, ইমরান পা ধরে রাখে এবং জয় বুকের ওপর বসে কাঁচি দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করেন।’’ 

ওসি জানান, হত্যার পর লাশটি বিছানার চাদর ও কম্বলে পেঁচিয়ে সোহাগের অটোরিকশায় করে রতনপুর এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। পর দিন আসামিরা নিহতের অটোরিকশা হারুনের কাছে ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
 

ঢাকা/রতন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চালক মজিবলকে হত্যার পর অটোরিকশা ৯৫ হাজারে বিক্রি করা হয়: পুলিশ