নবম ওভারেও অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ১ উইকেটে ৬৭। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে দরকার ছিল ১০১ রান। কিন্তু অক্ষর প্যাটেল, বরুণ চক্রবর্তী আর ওয়াশিংটন সুন্দরদের স্পিনের সামনে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল–মার্কাস স্টয়নিসরা এমনই হাঁসফাঁস করলেন যে, মাত্র ৫২ রানেই শেষ ৯ উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া।

ব্যাটিং ধসের দিনে ১১৯ রানে অলআউট হয়ে অস্ট্রেলিয়া হেরেছে ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।

গোল্ডকোস্টের কারারা ওভালে রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়া ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন ম্যাথু শর্ট ও মিচেল মার্শ। শর্ট ১৯ বলে ২৫ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পর জশ ইংলিসকে নিয়ে জুটি গড়েন অধিনায়ক মার্শ।

কিন্ত নবম ওভারের পঞ্চম বলে ইংলিস অক্ষর প্যাটেলের বলে এলবিডব্লু হতেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। অক্ষর, বরুণ ও সুন্দর—ভারতের সব স্পিনারের বলেই রান তুলতে হিমশিম খেয়েছেন টিম ডেভিড, জশ ফিলিপেরা।

অক্ষর ৪ ওভারে ২০ রানে নেন ২ উইকেট। শেষ দিকে মাত্র ১.

২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সুন্দর। বরুণের শিকার ২৬ রানে ১ উইকেট। মাঝে পেস বোলিং অলরাউন্ডার দুবে কিছুটা রান খরচ করলেও মূল্যবান ২ উইকেট (মার্শ ও ডেভিড) শিকার করেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতকে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ রান এনে দেন অভিষেক শর্মা–শুবমান গিল। তবে ভালো শুরুর পর ভারতের ব্যাটিংয়েও ধস নামে।

১৪ ওভারে ২ উইকেটে ১২১ থেকে শেষ ৬ ওভারে ৬ উইকেটে হারিয়ে ৪৬ রান যোগ করতে পারে ভারত। নাথান এলিস ও অ্যাডাম জাম্পা ৩টি করে উইকেট নেন।

ব্রিসবেনের গ্যাবায় সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি–টোয়েন্টি শনিবার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ভারত: ২০ ওভারে ১৬৭/৮ (গিল ৪৬, অভিষেক ২৮, দুবে ২২; এলিস ৩/২১, জাম্পা ৩/৪৫)।
অস্ট্রেলিয়া: ১৮.২ ওভারে ১১৯ (মার্শ ৩০, শর্ট ২৫, স্টয়নিস ১৭; সুন্দর ৩/৩, অক্ষর ২/২০)।
ফল: ভারত ৪৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অক্ষর প্যাটেল।
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে ভারত ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে দুই মাদক সম্রাটের বিরুদ্ধে পিতাকে মারধরের অভিযোগ

বন্দরে তালিকাভুক্ত মাদক সম্রাট পুত্রদের অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে উল্লেখিত ২ সহোদরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন অসহায় পিতা হাবিবুর রহমান ওরফে হবি। গত বুধবার (৫ নভেম্বর)  দুপুরে ভূক্তভোগী পিতা বাদী হয়ে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

আহত ও এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি বাজার এলাকার হাবিবুর রহমান হবি মিয়ার ছেলে রমজান ও  বাবু থানার  তালিকাভুক্ত মাদক সম্রাট।  

এলাকাবাসী মাদক সম্রাটদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও সাহস পায় না।  মাদক সম্রাট রমজান ও বাবুসহ বহিরাগত ৬/৭ জন মিলে অপর ভাই  বন্দর থানার আরেক তালিকাভূক্ত মাদক সম্রাট শুক্কুর ও তার স্ত্রী সালমা বেগমের সাথে ঝগড়া লাগে।  

এ ঘটনায় তাদের পিতা হাবিবুর রহমান ওরফে হবি মিয়া ঝগড়া করতে নিষেধ করার জের ধরে পাষান্ড মাদক সম্রাট ২ ছেলে রমজান ও  বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরই জন্মদাতা পিতা হবি (৬৫)কে  এলোপাতাড়ি  পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

পরে পরিবারের অন্যান্যরা  আহতকে উদ্ধার করে  হাসপাতালে  নিতে চাইলে হামলাকারি ২ সহোদর ভূক্তভোগী পিতাকে হাসপাতালে যেতে  বাধা প্রদান করে। আহতের  চিৎকারে এলাকাবাসী বের হয়ে আসলে ওই সময় পরিস্থিতি বেগতি দেখে পিছু হটে রমজান ও তার ভাই বাবুসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা ।

পরে স্থানীয়রা আহত বৃদ্ধ হবিকে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। চিকিৎসা শেষে নির্যাতিত পিতা হবি মিয়া বাদী  হয়ে  থানায় এ অভিযোগ দায়ের করে।   

সম্পর্কিত নিবন্ধ