ইসলামি সভ্যতায় ডাকব্যবস্থার উৎপত্তি ও বিকাশ
Published: 23rd, October 2025 GMT
আজকের ডিজিটাল যুগে ই–মেইল, মেসেজিং অ্যাপ আর ইন্টারনেট আমাদের যোগাযোগকে দ্রুত ও সহজ করেছে। তবু ডাকব্যবস্থা এখনো সমাজের সংযোগ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৮৭৪ সালে বিশ্ব ডাক সংস্থা প্রতিষ্ঠার স্মরণে প্রতিবছর ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হয়। ২০২৫ সালে এই দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মানুষের সেবায় ডাক’। যোগাযোগের সেতু হিসেবে, উদ্ভাবনের প্রেরণা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে ডাকব্যবস্থার গুরুত্ব ছিল সীমাহীন।
ইসলামি সভ্যতায় ডাকব্যবস্থা ছিল শাসন, প্রশাসন ও জ্ঞানের আদান-প্রদানের একটি প্রধান স্তম্ভ।
ডাকব্যবস্থার সুষ্ঠু পরিচালনা ছিল রাষ্ট্র সুসংহত থাকার প্রতীক। যদি কোনো প্রদেশ থেকে ডাক আসা বন্ধ হতো, তা বিদ্রোহ বা অস্থিরতার লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হতো।ইসলামি সভ্যতায় ডাকব্যবস্থার ইতিহাসইসলামি সভ্যতায় ডাকব্যবস্থা ছিল রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামোর একটি মূল অংশ। এটি বিভিন্ন প্রদেশকে রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত করত, খলিফার কাছে খবর পৌঁছে দিত এবং তাঁর নির্দেশ প্রদেশের শাসক ও কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছাত।
ডাকব্যবস্থার সুষ্ঠু পরিচালনা ছিল রাষ্ট্র সুসংহত থাকার প্রতীক। যদি কোনো প্রদেশ থেকে ডাক আসা বন্ধ হতো, তা বিদ্রোহ বা অস্থিরতার লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হতো। তাই ইসলামের প্রথম দিন থেকেই ডাকব্যবস্থার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
নবুয়তের যুগে ডাকব্যবস্থাঅনেকে মনে করতেন, ডাকব্যবস্থা উমাইয়া যুগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু আধুনিক একটি গবেষণা দেখা যায়, নবীজির (সা.
তাঁদের মধ্যে আবদুল্লাহ ইবনে আবু বকর ছিলেন অন্যতম, যিনি গুহায় থাকা নবীজি (সা.) ও আবু বকর (রা.)-এর কাছে কুরাইশদের খবর পৌঁছে দিতেন।
ষষ্ঠ হিজরির শেষে নবীজি (সা.) আরব উপদ্বীপের বাইরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে বিভিন্ন রাজা ও শাসকদের কাছে চিঠি পাঠান। তিনি দিহিয়া ইবনে খালিফা আল-কালবিকে রোমের সম্রাটের কাছে, আবদুল্লাহ ইবনে হুজাফা সাহমিকে পারস্যের কিসরার কাছে, আমর ইবনে আসকে ওমানের শাসকের কাছে ও শুজা ইবনে ওয়াহাব আল-আসাদিকে গাসানের শাসকের কাছে পাঠান। (ইবনে হিশাম, সিরাতুন নবী, ৪/২৫৫, দারুল কুতুব, কায়রো, ১৯৫৫)
‘মাকাতিব আর-রাসুল’ বইয়ে বলা হয়, নবীজি (সা.) শতাধিক চিঠি পাঠিয়েছিলেন, অর্থাৎ ডাকব্যবস্থা তখনই ইসলাম প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল।
আরও পড়ুনহারানো মুসলিম সভ্যতার খোঁজে১৯ আগস্ট ২০২৩প্রথম দিকে উট ব্যবহৃত হলেও পরে গতির কারণে ঘোড়া জনপ্রিয় হয়উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামি সভ্যতায় ডাকব্যবস্থার উৎপত্তি ও বিকাশ
আজকের ডিজিটাল যুগে ই–মেইল, মেসেজিং অ্যাপ আর ইন্টারনেট আমাদের যোগাযোগকে দ্রুত ও সহজ করেছে। তবু ডাকব্যবস্থা এখনো সমাজের সংযোগ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৮৭৪ সালে বিশ্ব ডাক সংস্থা প্রতিষ্ঠার স্মরণে প্রতিবছর ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হয়। ২০২৫ সালে এই দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মানুষের সেবায় ডাক’। যোগাযোগের সেতু হিসেবে, উদ্ভাবনের প্রেরণা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে ডাকব্যবস্থার গুরুত্ব ছিল সীমাহীন।
ইসলামি সভ্যতায় ডাকব্যবস্থা ছিল শাসন, প্রশাসন ও জ্ঞানের আদান-প্রদানের একটি প্রধান স্তম্ভ।
ডাকব্যবস্থার সুষ্ঠু পরিচালনা ছিল রাষ্ট্র সুসংহত থাকার প্রতীক। যদি কোনো প্রদেশ থেকে ডাক আসা বন্ধ হতো, তা বিদ্রোহ বা অস্থিরতার লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হতো।ইসলামি সভ্যতায় ডাকব্যবস্থার ইতিহাসইসলামি সভ্যতায় ডাকব্যবস্থা ছিল রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামোর একটি মূল অংশ। এটি বিভিন্ন প্রদেশকে রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত করত, খলিফার কাছে খবর পৌঁছে দিত এবং তাঁর নির্দেশ প্রদেশের শাসক ও কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছাত।
ডাকব্যবস্থার সুষ্ঠু পরিচালনা ছিল রাষ্ট্র সুসংহত থাকার প্রতীক। যদি কোনো প্রদেশ থেকে ডাক আসা বন্ধ হতো, তা বিদ্রোহ বা অস্থিরতার লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হতো। তাই ইসলামের প্রথম দিন থেকেই ডাকব্যবস্থার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
নবুয়তের যুগে ডাকব্যবস্থাঅনেকে মনে করতেন, ডাকব্যবস্থা উমাইয়া যুগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু আধুনিক একটি গবেষণা দেখা যায়, নবীজির (সা.) সময়েই এর শুরু হয়। হিজরতের পর মদিনায় এসে নবীজি (সা.) গুপ্তচর নিয়োগ করেছিলেন, যাঁরা মক্কা থেকে খবর আনতেন।
তাঁদের মধ্যে আবদুল্লাহ ইবনে আবু বকর ছিলেন অন্যতম, যিনি গুহায় থাকা নবীজি (সা.) ও আবু বকর (রা.)-এর কাছে কুরাইশদের খবর পৌঁছে দিতেন।
ষষ্ঠ হিজরির শেষে নবীজি (সা.) আরব উপদ্বীপের বাইরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে বিভিন্ন রাজা ও শাসকদের কাছে চিঠি পাঠান। তিনি দিহিয়া ইবনে খালিফা আল-কালবিকে রোমের সম্রাটের কাছে, আবদুল্লাহ ইবনে হুজাফা সাহমিকে পারস্যের কিসরার কাছে, আমর ইবনে আসকে ওমানের শাসকের কাছে ও শুজা ইবনে ওয়াহাব আল-আসাদিকে গাসানের শাসকের কাছে পাঠান। (ইবনে হিশাম, সিরাতুন নবী, ৪/২৫৫, দারুল কুতুব, কায়রো, ১৯৫৫)
‘মাকাতিব আর-রাসুল’ বইয়ে বলা হয়, নবীজি (সা.) শতাধিক চিঠি পাঠিয়েছিলেন, অর্থাৎ ডাকব্যবস্থা তখনই ইসলাম প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল।
আরও পড়ুনহারানো মুসলিম সভ্যতার খোঁজে১৯ আগস্ট ২০২৩প্রথম দিকে উট ব্যবহৃত হলেও পরে গতির কারণে ঘোড়া জনপ্রিয় হয়