ফরিদপুরে সাপে কামড়ের ৩ দিন পর যুবকের মৃত্যু
Published: 20th, June 2025 GMT
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সাপে কামড় দেওয়ার তিনদিন পর কাউসার ভূইয়া (৩৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল ওই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত কাউসার ভূঁইয়া চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের শালিপুর মধ্য গ্রামের মৃত ফালু হক ভূইয়ার ছোট ছেলে। তার স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের শালিপুর মধ্য গ্রামের মৃত ফালু হক ভূইয়ার ছোট ছেলে কাউসার ভূঁইয়াকে গত ১৬ জুন দুপুরের দিকে ধান খেতের গরু তাড়াতে গেলে সাপে কামড় দেয়। ওইদিন বিকেলে পরিবারের লোকজন তাকে প্রথমে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার একদিন পর তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১০ টাকায় ইলিশ খাওয়াতে গিয়ে তোপের মুখে ‘এমপি প্রার্থী’ জামিল
ফরিদপুরের সদরপুরে ১০ টাকায় ইলিশ মাছ বিতরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন মাওলানা রায়হান জামিল (৩৬) নামের এক স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী। তবে, ইলিশের চেয়ে মানুষ বেশি হওয়ায় উপস্থিত জনতার মধ্যে শুরু হয় হট্টগোল। একপর্যায়ে জনতার তোপের মুখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রায়হান জামিল। প্রায় এক সপ্তাহ আগে মাত্র ১০ টাকায় ইলিশ মাছ বিতরণের ঘোষণা দিয়ে পোস্টার সাঁটিয়াছিলেন তিনি।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সদরপুর উপজেলার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইলিশ বিতরণের কথা ছিল। তবে, সকাল থেকে শত শত মানুষ জাকের মঞ্জিল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভিড় জমাতে শুরু করেন।
রায়হান জামিল প্রায় ৬০০টি ইলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। কিন্তু, মাছ নেওয়ার জন্য সেখানে দুই সহস্রাধিক মানুষ আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন। বিতরণ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাছ ফুরিয়ে যায়। মাছ না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন লাইনে দাঁড়ানো লোকজন।
তারা বলেন, সকাল থেকে অপেক্ষা করেও মাছ পাননি। উল্টো ধাক্কাধাক্কি ও মারামারি লেগে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে রায়হান জামিলকে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে হয়।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকদেব রায় বলেন, ‘‘রায়হান জামিলকে আগেই এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়ে ছিল। কিন্তু, তিনি তা শোনেননি। বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’’
রায়হান জামিল ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার এমপিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পর রায়হান জামিল বলেন, ‘‘দেশের সবচেয়ে দামি মাছ ইলিশ। অনেক মানুষের ইলিশ কিনে খাওয়ার সক্ষমতা নেই। এই চিন্তা থেকে আমি প্রায় ৬০০ মানুষের মধ্যে ১০ টাকায় ইলিশ দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু, হাজার হাজার মানুষ জড়ো হওয়ায় সবাইকে মাছ দিতে পারিনি। পরে আমি এ ঘটনার জন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে ফিরে আসি।’’
ঢাকা/তামিম/রাজীব