রাজধানীর আদাবর ও মোহাম্মদপুর থেকে ডাকাতি, মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যাঁদের মধ্যে আদাবর থানার শ্যামলী হাউজিং প্রকল্প-২, সুনিবিড় হাউজিং, শেখেরটেক থেকে ৯ জন এবং মোহাম্মদপুর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার এ কে এম মেহেদী হাসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার ১৮ জনের মধ্যে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ জন, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ৪ জন, মাদক মামলায় ৭ জন, খুনের মামলায় ১ জন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের অধ্যাদেশ অমান্যে ২ জন রয়েছেন। আসামিদের কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা, ২ কেজি গাঁজা, ১০৮টি ট্যাপেনটাডোল মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন রিয়াজ (৩২), বিল্লাল (৩৫), সাব্বির (৩৫), কাশেম (২৩), শিশু (৪২), শাকিল (২১), আব্দুর রহমান (২১), সুজন (২৪), রতন (২২), আরিফ (৩০), সারোয়ার (২৮), জিহাদ (২৩), মেহেদী (৩০), মহিউদ্দিন (৩০), রানা (২৪), হিরা (২৭), হাসিবুর রহমান (২৫) ও প্রিয়াঙ্কা (২৫)।

অন্যদিকে আদাবর থানা থেকে গ্রেপ্তার ৯ জনের মধ্যে ৩ জন ছিনতাইকারী, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ১ জন এবং ডিএমপির অধ্যাদেশে ২ জন ও বাকি ৩ জনকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সরোয়ার ২৬), স্বপন খাঁ (২৬), মো.

সাজু (২২), শাওন (৩৯), রাব্বী (২১), রিংকু (২০), সবুজ (২০), রকি হোসেন (২৬) ও প্রদীপ (২৮)।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদপ র থ গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

বলসোনারোকে গৃহবন্দী করার সিদ্ধান্তের নিন্দায় যুক্তরাষ্ট্র

অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের মামলার বিচার শুরুর আগে ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোকে গৃহবন্দী করার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট বলসোনারোকে গৃহবন্দী করার আদেশ দেন।

নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ক্ষমতা ধরে রাখতে অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্র করেছিলেন অভিযোগে বলসোনারোর বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ মামলার বিচারকাজ শুরুর আগে তাঁকে গৃহবন্দী করার নির্দেশ দিলেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

ব্রাজিলের সাবেক সেনা কর্মকর্তা বলসোনারো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন মিত্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্যুরো অব ওয়েস্টার্ন হেমিস্ফিয়ার অ্যাফেয়ার্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানায়।

ব্রাজিলের সাবেক সেনা কর্মকর্তা বলসোনারো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন মিত্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্যুরো অব ওয়েস্টার্ন হেমিস্ফিয়ার অ্যাফেয়ার্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানায়।

পোস্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিচারপতি মোরায়েস বিরোধীদের দমনসহ গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলতে ব্রাজিলের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে যাচ্ছেন।

পোস্টে আরও বলা হয়, জনসমক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থেকে বলসোনারোকে আরও বেশি বঞ্চিত করা কোনো জনসেবা নয়। বলসোনারোকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে।

আরও পড়ুনব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর বাড়ি ও কার্যালয়ে তল্লাশি১৮ জুলাই ২০২৫

বলসোনারোকে গৃহবন্দী রাখার নির্দেশের ফলে দেশটির ডানপন্থী এই রাজনীতিক ও আদালতের মধ্যকার টানাপোড়েন আরও বাড়ল।

২০২২ সালের নির্বাচনে লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে পরাজিত হন বলসোনারো। পরে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতা ধরে রাখতে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা হয়।

বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে ওঠায় গতিবিধি নজরদারিতে রাখতে গত মাসে ৭০ বছর বয়সী বলসোনারোর পায়ে ইলেকট্রিক কড়া পরানোর নির্দেশ দেন দেশটির আদালত। পাশাপাশি তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তাঁর ভাষণ অনলাইনে প্রচারের ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোকে গৃহবন্দী করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের৬ ঘণ্টা আগে

বলসোনারোর প্রতি সংহতি জানিয়ে গত রোববার ব্রাজিলের কয়েকটি শহরে সমাবেশ হয়। এর মধ্যে রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ছেলের সঙ্গে তাঁর সরাসরি ফোনালাপ সম্প্রচার করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা হয়। এ ঘটনায় দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে ডি মোরায়েস ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। আদালতের বিধিনিষেধ বারবার অমান্য করায় বলসোনারোর সমালোচনা করে তাঁকে গৃহবন্দী রাখার নির্দেশ দেন এই বিচারপতি। একই সঙ্গে দেশটির সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে তাঁর আইনজীবী ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে দেখা করতে কিংবা মুঠোফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেন আদালত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ