প্রথমবার দেশের বাইরে বল করেই নাঈমের বাজিমাত
Published: 20th, June 2025 GMT
টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর অভিষেকটা ছিল দারুণ রঙিন। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেই পেয়ে গিয়েছিলেন ৫ উইকেট। তাতে একটা রেকর্ডও গড়েছিলেন—প্যাট কামিন্সকে পেছনে ফেলে হয়েছিলেন সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়া বোলার। কামিন্স কীর্তিটা গড়েছিলেন ২০১১ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরে অবশ্য পাকিস্তানের নাসিম শাহ ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেট নেন মাত্র ১৬ বছর ৩০৭ দিন বয়সে, নাসিম শাহর সেটা অভিষেক টেস্ট ছিল না, তবে টেস্ট ইতিহাসেই তাঁর চেয়ে কম বয়সে ৫ উইকেট নেননি আর কেউ।
অভিষেকে নাঈমের ওই কীর্তি তাঁকে এনে দিয়েছিল প্রথম আলোর সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও। উদীয়মান হওয়া মানে বড় কিছুর সম্ভাবনা জাগানো—ভবিষ্যৎটা তাঁর উজ্জ্বলই হওয়ার কথা। কিন্তু ওই সুযোগ কতটা পেয়েছেন, সেই প্রশ্ন নাঈম চাইলেই তুলতে পারেন অবলীলায়।
৫ উইকেট পাওয়া নাঈমের উচ্ছ্বাস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৫ উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে প্রথমবারের মতো কক্সবাজার রেলস্টেশনে স্ক্যানার স্থাপন
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কক্সবাজার রেলস্টেশনে লাগেজ স্ক্যানিং সেবা চালু হলো।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ ব্র্যান্ডের আধুনিক স্ক্যানার মেশিন বসানো হয় বলে জানিয়েছেন রেলস্টেশনের টিকিট কালেক্টর শান্ত বড়ুয়া।
রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ওঠার আগে যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনী যৌথভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্ক্যানিংয়ে সন্দেহজনক কিছু শনাক্ত হলে ব্যাগ খুলে পরীক্ষা করা হয়। যাত্রীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করছেন।
আরো পড়ুন:
বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি, নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি: রেল কর্তৃপক্ষ
খুলনার সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কালেক্টর শান্ত বড়ুয়া বলেন, “কক্সবাজার থেকে মাদক ও চোরাচালান বেড়েছে। এ প্রবণতা রোধে এবং যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে। যাত্রীদের অনুরোধ, ট্রেন ছাড়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে স্টেশনে পৌঁছাবেন।”
তিনি জানান, আমেরিকা থেকে আনা এই মেশিন দেশের প্রথম রেলস্টেশনে স্ক্যানার হিসেবে কক্সবাজারে স্থাপন করা হয়েছে। এটি ওষুধজাত দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও চোরাইপণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম। শনাক্ত হওয়ার পরই কেবল তল্লাশি করা হয়, যাতে যাত্রীরা বিড়ম্বনার শিকার না হন।
ঢাকাগামী যাত্রী সাইমন ইসলাম বলেন, “নতুন এই উদ্যোগ আমাদের নিরাপত্তা বাড়াবে। তবে অহেতুক হয়রানি যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”
অপর যাত্রী আরেফা আক্তার বলেন, “পরিবার নিয়ে ভ্রমণকারীদের জন্য এটি স্বস্তির খবর। দ্রুত স্ক্যানিং করা গেলে আরও ভালো হবে।”
২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার রেললাইনে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস, আর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস চলাচল করছে।
ঢাকা/তারেকুর/মেহেদী