প্রথমবার দেশের বাইরে বল করেই নাঈমের বাজিমাত
Published: 20th, June 2025 GMT
টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর অভিষেকটা ছিল দারুণ রঙিন। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেই পেয়ে গিয়েছিলেন ৫ উইকেট। তাতে একটা রেকর্ডও গড়েছিলেন—প্যাট কামিন্সকে পেছনে ফেলে হয়েছিলেন সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়া বোলার। কামিন্স কীর্তিটা গড়েছিলেন ২০১১ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরে অবশ্য পাকিস্তানের নাসিম শাহ ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেট নেন মাত্র ১৬ বছর ৩০৭ দিন বয়সে, নাসিম শাহর সেটা অভিষেক টেস্ট ছিল না, তবে টেস্ট ইতিহাসেই তাঁর চেয়ে কম বয়সে ৫ উইকেট নেননি আর কেউ।
অভিষেকে নাঈমের ওই কীর্তি তাঁকে এনে দিয়েছিল প্রথম আলোর সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও। উদীয়মান হওয়া মানে বড় কিছুর সম্ভাবনা জাগানো—ভবিষ্যৎটা তাঁর উজ্জ্বলই হওয়ার কথা। কিন্তু ওই সুযোগ কতটা পেয়েছেন, সেই প্রশ্ন নাঈম চাইলেই তুলতে পারেন অবলীলায়।
৫ উইকেট পাওয়া নাঈমের উচ্ছ্বাস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৫ উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের ফরদো পারমাণবিক স্থাপনা কি ধ্বংস করা সত্যিই অসম্ভব, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
পাহাড় কেটে ঢুকে পড়েছে পাঁচটি সুড়ঙ্গ, পাশে দাঁড়িয়ে বিশাল এক কাঠামো, আর চারপাশে সুপ্রসারিত নিরাপত্তাপ্রাচীর—ইরানের ফরদো জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের সাম্প্রতিক একটি স্যাটেলাইট ছবিতে এমনই দেখা গেছে।
ইরানের পবিত্র শহর কোমের কাছাকাছি স্থানে এ গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পারমাণবিক স্থাপনাটি অবস্থিত। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে আসার পর থেকে এর আসল প্রকৃতি ও পরিসর নিয়ে ব্যাপক জল্পনাকল্পনার শুরু হয়।
স্থাপনাটি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যত তথ্য পাওয়া গেছে, তার বেশির ভাগই মিলেছে কয়েক বছর আগে ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের চুরি করে আনা ইরানের গোপন নথি থেকে।
এর মূল কক্ষগুলো মাটির নিচে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মিটার (প্রায় ২৬০ থেকে ৩০০ ফুট) গভীরে। এত গভীরে এর অবস্থান হওয়ায় ইসরায়েলের যেকোনো বিমান থেকে সেখানে বোমা দিয়ে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।
ইসরায়েলের হামলায় ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, ফরদোতে ইরান তাড়াহুড়া করে মজুদকৃত ইউরেনিয়াম থেকে পারমাণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা করতে পারে।
ইসরায়েল এ কেন্দ্র লক্ষ্য করে সম্প্রতি হামলা চালালেও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মতে, তারা এখন পর্যন্ত এ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি, নয়তো এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেনি।
তেহরান বহুদিন ধরে দাবি করে আসছে, শুধু শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে তারা পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। কিন্তু তারপরও ফরদো নিয়ে ইরানের প্রকৃত অভিপ্রায় সম্পর্কে পশ্চিমা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন রয়েছে।
২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এক যৌথ ঘোষণায় প্রথমবারের মতো ফরদোর অস্তিত্বের কথা প্রকাশ করেন। তখন ওবামা বলেছিলেন, ‘এই কেন্দ্রের আকার ও গঠন এটির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সঙ্গে মেলে না।’
ফরদো পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্রের সামনে ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিব আবাদি (ডানে) এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি (বাঁ থেকে দ্বিতীয়), ১৫ নভেম্বর ২০২৪