নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ ৪ জন নিহত
Published: 20th, June 2025 GMT
রাজশাহীতে আম কিনে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার বনবেলঘরিয়া এলাকায় নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কে বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁদের মৃত্যু হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম সাগর হোসেন (২৪)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশার চালক মো.
ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, সাগর হোসেনসহ তিনজন রাজশাহীর বানেশ্বরে আম কিনতে গিয়েছিলেন। তাঁরা বানেশ্বরে আম কিনে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নাটোরে আসছিলেন ট্রেনযোগে ঢাকায় যাওয়ার জন্য। শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে তাঁদের বহনকারী অটোরিকশা বনবেলঘরিয়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা রাব্বী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চালক মো. বাবুর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সাগরসহ তিন জনকে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার আগেই সাগরের মৃত্যু হয়। অন্য দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে রাত ১০টার কিছু পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। তবে তাঁদের পরিচয় জানাতে পারেনি রাজশাহীর রাজপাড়া থানার কর্তব্যরত এএসআই মো. লাবলু।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও সহযোগীরা পালিয়েছেন। দুজনের মৃতদেহ তাঁদের হেফাজতে আছে। অন্যদের ব্যাপারে তাঁরা কিছু জানেন না। রাজপাড়া থানা তাঁদের ব্যাপারে বলতে পারবে।
আরও পড়ুনময়মনসিংহে দুই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০১ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
বঙ্গোপসাগরে পুণ্যস্নান ও পূজার মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শেষ হয়েছে রাস উৎসব। বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সমুদ্রে নেমে স্নান সম্পন্ন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সৈকত সংলগ্ন শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমে ১৭ জোড়া যুগল প্রতিমা দর্শন করেন তারা।
এর আগে, মোমবাতি, আগরবাতি, ফুল, ফল, দুর্বা, হরতকি, ডাব, কলা, তেল ও সিঁদুর সমুদ্রের জলে অর্পণ করেন তারা। লক্ষাধিক নারী-পুরুষের উপস্থিতি এবং উলুধ্বনি ও মন্ত্রপাঠে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সৈকত এলাকা। অনেকে প্রায়শ্চিত্ত ও পূর্ব পুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় পিন্ডদানের পাশাপাশি মাথা ন্যাড়া করেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা সৈকতে স্নানের আগে ঢাকা-ঢোলের তালে হরিনাম জপে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন।
আরো পড়ুন:
বাউফলে খেলার মাঠে মেলা বন্ধের দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ
লালন মেলায় ৭৮ মোবাইল ফোন চুরি
রাসপূজা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলেও এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দিরে পাঁচ দিনব্যাপী চলবে মেলা।
রাস উৎসবে অংশ নিকে আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর ছিল পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
পিরোজপুরের নাজিরপুর থেকে আসা পুণ্যার্থী মুক্তা রানী বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবারো আমরা রাস পূজা উপলক্ষে কুয়াকাটায় এসেছি। রাতভর ধর্মীয় সঙ্গীতানুষ্ঠান উপভোগ করেছি। সকালে পুণ্যের আশায় স্নান করেছি এবং কৃষ্ণের কাছে মনোবাসনা ব্যক্ত করেছি।”
ঢাকার কাকরাইল এলাকা থেকে আসা অর্চনা রানী বলেন, “জাগতিক পাপ মোচনের আশায় স্নান করেছি। পৃথিবীর সব জীবের জন্য শান্তি কামনা করেছি। এখানে হাজার হাজার মানুষ এসেছেন। সবাই খুব ভোরে স্নান করেছেন। এর আগে, মন্দিরসহ পুরো সৈকত এলাকায় সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপভোগ করেছি।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়ন ছিলেন। সবার সহযোগিতায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ