৪৯ রানে মুশফিকের রান আউটের পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ
Published: 21st, June 2025 GMT
ফিফটি ছুঁতে দ্রুত এক রান নিতে চেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু ৪৯ রানে থাকা অবস্থায় থারিন্দুর থ্রোতে হয়ে গেছেন রান আউট। ১০২ বলে চারটি চারে সাজানো মুশফিকের এই ইনিংস। তিনি ফেরার পরই বৃষ্টি নামে। বন্ধ হয় খেলা। বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ২৩৭। নাজমুল অপরাজিত আছেন ৮৯ রানে। বাংলাদেশের লিড ২৪৭।
শান্ত-মুশফিকে শতরানের জুটি, লিড বেড়ে ২৪৩
শান্ত-মুশফিকে প্রথম ইনিংসে এসেছিল ২৬৪ রানের জুটি। দ্বিতীয় ইনিংসেও ইতোমধ্যে শতরাঙের জুটি পেয়েছে তারা। দুজনের জুটি শতক ছুঁয়েছে ১৬৭ বলে। ফিফটির পথে এগিয়ে যাচ্ছেন মুশফিক, ম্যাচে আরেকটি সেঞ্চুরির পথে শান্ত। ৭২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ২৩৩। ৪৮ রানে খেলছেন মুশফিক। ৮৬ রানে ব্যাট করছেন শান্ত।
শান্ত-মুশফিকে ২০০ ছাড়াল বাংলাদেশের লিড
লিড বাড়ানোর আশায় গল টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলায় মাঠে বাংলাদেশ। ১৮৭ রানের লিড নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন দুই অপরাজিত ব্যাটার মুশফিকুর রহিম-নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই ব্যাটার মিলে এখন পর্যন্ত যোগ করেছেন আরও ১৯ রান। বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৯৬। ইতোমধ্যে দুইশ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের লিড। ৬৬ রানে খেলছেন শান্ত, ৩১ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক।
গল টেস্টের পঞ্চম দিন এখন বাংলাদেশ এমন এক অবস্থানে আছে, যেখান থেকে জয়, ড্র কিংবা হারতেও পারে বাংলাদেশ। টাইগারদের জিততে হলে স্কোরবোর্ডে ভালো পুঁজি তুলে লঙ্কানদের অলআউট করতে হবে। ড্র করতে হলেও ভালো পুঁজি দরকার। কারণ অলআউট করা না গেলেও যেন সারাদিন পার করতে পারে বাংলাদেশ। আবার পঞ্চম দিন বাংলাদেশ যদি ব্যাটিং ধসে পড়ে তাহলে ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ম্যাচ জিততেও পারে লঙ্কানরা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমার ছেলেকে গোসল করাতেও দেয়নি ওরা’
রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের অডিটরিয়াম শহীদদের বাবা-মায়ের অশ্রুতে ভিজেছে। অনেক মা উঠে দাঁড়িয়েছেন, আর স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বলেছেন, “আমার ছেলে গুলি খেয়েছিল রাস্তায়, কিন্তু হাসপাতালে নিয়েও চিকিৎসা পায়নি।”
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট)‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ এর ১ বছর পূর্তিতে ঢাকা জেলা প্রশাসন ৮২ শহীদ পরিবার ও ১ হাজার ৪৮৩ জন জুলাইযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে। কিন্তু এই সংবর্ধনা শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, এটি ছিল স্মরণ, শ্রদ্ধা, বিচার চাওয়ার আর্তি আর রাষ্ট্র পুনর্গঠনের অঙ্গীকার।
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে টিকে থাকতে চেয়েছিল। ৫ আগস্ট শুধু স্মরণ করার মতো দিন নয়, এটা প্রতিজ্ঞার দিন, মাফিয়াতন্ত্রকে চিরতরে নির্মূল করার শপথ।”
আরো পড়ুন:
বীরদের উৎসর্গ করে জুলাইয়ের গল্প শোনালেন সায়ান
চব্বিশের অভ্যুত্থানে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি
তিনি আরো বলেন, “আজ আমরা শ্রদ্ধা জানাই শুধু জুলাই শহীদদের নয়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদেরও, যাদের আত্মত্যাগে আমরা প্রথম স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। এবার এসেছে গণতন্ত্রের পূর্ণ মুক্তির সময়।”
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করে শহীদ শুভ’র মা রেনু কাঁপা কণ্ঠে বলেন, “আমার ছেলেকে গুলি করার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওকে বাঁচাতে কেউ আসেনি। মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরলে গোসল করাতে দেয়নি পুলিশ। আমার ছেলে অপরাধ কী করেছিল? ছাত্রদের ডাকে সাড়া দিয়েছিল, এটাই ছিল ওর অপরাধ?”
শহীদ আকরাম খান রাব্বির মা বলেন, “আমরা এখানে কোনো উৎসব করতে আসিনি। এসেছি বিচার চাইতে। আমাদের সন্তানদের খুন করে কেউ যেন নিরাপদে না থাকে। স্বৈরাচারী শাসকের বিচার চাই। এমন শাস্তি চাই, যেন দুনিয়া কাঁপে।”
এই স্মৃতিচারণ অংশে অডিটোরিয়ামের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। দর্শকসারিতে অনেকেই চোখ মুছছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বলেন, “যে সরকার গুলি চালিয়েছিল, তারা পালিয়ে গেছে। তাদের দোসররাও আত্মগোপনে। সেই শূন্যতার সময় নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে আমরা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলাম। এখন সেই সংকট পেরিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি উপস্থিত শহীদ পরিবার ও আন্দোলনকারীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
অনুষ্ঠানে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ নিয়ে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়। যেখানে আন্দোলনের ভয়াবহতা ও আন্দোলনকারীদের সাহসিকতা ফুটে ওঠে।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী