অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম ২০১০ সালের ৩১ মার্চ বিয়ে করেন পরিচালক এজাজ মুন্নাকে। ২০১১ সালের ২ মার্চ তাদের সংসারে আলো করে আসে পুত্র সন্তান। কিন্তু সংসারটা টেকেনি। একমাত্র ছেলে উদ্ভাস মায়ের সঙ্গেই থাকে। ২০১৩ সালের দিকে মুন্নার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় মমর। এদিকে বিয়ের পরে প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক টিকে আছে বলে জানিয়েছেন মম। দুইজনই সন্তানকে সময় দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।

মম একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমরা আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকি। আমার ছেলের মেন্টাল হেল্থের যেন কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য দুজনেই চেষ্টা করি। আমার কাছে মনে হয় যে বিবাহের চেয়ে বন্ধুত্বটা জীবনে অনেক বেশি ইফেক্টিভ। মুন্না সেই সাপোর্টটা আমাকে দিচ্ছে।’’

জাকিয়া বারী মম আরও বলেন, ‘‘মুন্না একজন ভালো বন্ধু। আমার কাছে এইটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’’

আরো পড়ুন:

মৃত্যুর সময় কাউকে পাশে পাননি পাকিস্তানী অভিনেত্রী আয়েশা খান

সঞ্জয়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে কাঁদলেন কারিশমা, প্রশ্ন তুললেন তসলিমা

উল্লেখ্য,  মম দ্বিতীয় বিয়ে করেন পরিচালন শিহাব শাহীনকে। বিয়ের ঠিক চার বছর পরে-২০১৯ সালে সেই সংবাদ প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু তার ঠিক এক বছর পরেই শিহাব শাহীনের সঙ্গেও সংসার ভেঙে যায় মমর।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাহাড়ি ঢলে ধসে পড়েছে বেইলি সেতু, বন্ধ মিরসরাই-ফটিকছড়ি সড়ক যোগাযোগ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ধসে পড়েছে বেইলি সেতু। আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটায় মিরসরাই পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মিরসরাই চাঁদপুর গোভানিয়া-ফটিকছড়ি সড়কে গোভানিয়া ছড়ার ওপর নির্মিত সেতুটির এক পাশ ধসে পড়ে। এর পর থেকে মিরসরাই পৌরসভা থেকে ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট বাজারকে সংযুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিছুদিন আগে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছিল মিরসরাই পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

আজ বিকেল চারটায় সরেজমিনে দেখা যায়, গোভানিয়া ছড়ার তীব্র স্রোতে বেইলি সেতুর উত্তর পাশের অংশের গোড়ায় মাটি সরে গেছে। এর ফলে সেতুর ওই অংশ ছড়ায় ধসে পড়েছে। ধসে পড়া সেতুটি দেখতে দুই পাশে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও কেউ কেউ হেঁটে যাচ্ছেন কাত হয়ে যাওয়া সেতুর ওপর দিয়ে।

সেতু এলাকায় কথা হয় মিরসরাই পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মনিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মিরসরাই চাঁদপুর গোভানিয়া-ফটিকছড়ি সড়কের গোভানিয়া ছড়ার ওপর এই বেইলি সেতুটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ফটিকছড়ি উপজেলার সঙ্গে মিরসরাই উপজেলার মানুষের যোগাযোগের প্রধান সড়ক এটি। এই সড়ক পথে যাত্রী পরিবহন ছাড়াও পাহাড়ি বাঁশ-কাঠ, লেবু, মৌসুমি ফল ও সবজি আনা–নেওয়া করা হয়। বেইলি সেতুটি ভেঙে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আম–কাঁঠাল ও আনারস পাকার এই মৌসুমে বাগানমালিক ও ফল ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই পৌরসভার প্রশাসক মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিরসরাই পৌরসভা এলাকায় গোভানিয়া ছড়ার ওপর বেইলি সেতুটি ধসে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জেনেছি। মিরসরাই চাঁদপুর গোভানিয়া-ফটিকছড়ি সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন। বেইলি সেতু ধসে পড়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ চট্টগ্রাম জেলার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সীতাকুণ্ড) মোহাম্মদ ফারহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিরসরাই চাঁদপুর গোভানিয়া-ফটিকছড়ি সড়কের মিরসরাই পৌরসভা এলাকায় গোভানিয়া ছড়ার ওপর বেইলি সেতুটি ছড়ায় ধসে পড়ার খবর পেয়েছি। আগামীকাল সকাল থেকে সেতুটি মেরামতের কাজ শুরু হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ