সালথার ১৬ বছর পর বিএনপির সম্মেলন, নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস
Published: 21st, June 2025 GMT
দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগমীকাল রোববার সালথা উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিষয়টি ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
জানা গেছে, কর্মী সম্মেলনে ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলারের সভাপতিত্বে ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার ফজলুল হক টুলুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড.
এদিকে সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। পদের জন্য নেতারা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে লবিং শুরু করেছেন, আবার অনেকেই গণসংযোগে ব্যস্ত। কর্মীরা তাদের নেতার সমর্থনে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। পোস্টার, ব্যানার, লিফলেটসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে প্রচার-প্রচারণা।
কর্মী সম্মেলন সফল করতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন।
সালথা উপজেলা গঠনের পর দুইবার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও তা সালথা উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই কর্মী সম্মেলন নেতাকর্মীদের মাঝে আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। সবার মাঝে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে।
বিএনপির সম্মেলনে উল্লেখযোগ্য সভাপতি প্রার্থী রয়েছেন-সালথা উপজেলার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান হুমায়ুন খা, বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান মুন্নু, হাবিবুর রহমান হাবিব, মো. ফরিদুর রহমান প্রমুখ। উল্লেখযোগ্য সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সালথা উপজেলার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহিন মাতুব্বর, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহিনুর রহমান, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মো. জাহিদুল হাসান লাভলু, মো. রাশেদ মিয়া, ফরিদপুর জেলা যুবদলের নেতা এডভোকেট আজিজুর রহমান লিটন প্রমুখ।
কর্মী সম্মেলন নিয়ে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে সালথায় এই প্রথম আমরা কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছি। কর্মী সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ দেখতে পারছি। কর্মী সম্মেলনে আমাদের সুপরিকল্পিত প্রস্তুতি রয়েছে। আমি নেতাকর্মীদের বলবো, দক্ষিণবঙ্গের অগ্নিকন্যা শামা ওবায়েদ আমাদের অহংকার। কোন ক্রমেই যেন সম্মেলন ঘিরে কোন বিশৃঙ্খলা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মো. আছাদ মাতুব্বর জানান, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমাদের সকলের কাঙ্ক্ষিত কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকল মতের ঊর্ধ্বে আমাদের নেত্রী শামা ওবায়েদের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আগামীকালকের সম্মেলন সফল করতে হবে। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে বলবো, আপনারা সবাই সুশৃঙ্খলভাবে এই কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে সাফল্যমণ্ডিত করবেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ঈদের মত আনন্দ বিরাজ করছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ত কর ম দ র ম ঝ অন ষ ঠ ত কম ট র স র রহম ন ব এনপ র আম দ র গঠন র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে পোশাক কারখানা
আগামীকাল ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে দেশের সব তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে।
পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক সমিতি-বিজিএমইএ তাদের সদস্যদের বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য এই দিনটি সাধারণ ছুটি হিসেবে পালন করার জন্য।
বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ছুটির ঘোষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১১৮ এবং শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধি ১১০ মোতাবেক প্রতি বছর বছরের শুরুতে ১১ দিন উৎসব ছুটি নির্ধারণ করা হয়। তবে সরকার বছরের মাঝামাঝি সময়ে ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় উক্ত ছুটি উৎসব ছুটির অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাই শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানাগুলোর জন্য উক্ত ছুটি বাধ্যতামূলক নয়। তবুও, বিজিএমইএ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সকল পোশাক শিল্প কারখানাগুলোকে সাধারণ ছুটি হিসেবে বন্ধ রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে।
গত ২ জুলাই সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং এ উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস-আদালতে ছুটি নির্ধারণ করে।
ঢাকা/নাজমুল/ইভা