সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে উড়ে গেছে কিশোরের পা
Published: 22nd, June 2025 GMT
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি সীমান্ত এলাকায় স্থলমাইন বিস্ফোরণে আরাফাতুল ইসলাম (১৭) নামে এক কিশোরের পা উড়ে গেছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে জামছড়ি সীমান্ত পিলার ৪৪ এর সংলগ্ন জিরো লাইনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার।
আহত আরাফাতুল ইসলাম (১৭) নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জামছড়ি এলাকার খুইল্যা মিয়ার ছেলে।
সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার জানান, মো.
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসরুরুল হক জানিয়েছেন, তাদের প্রাপ্ত তথ্যমতে সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে প্রায় ২৫০ মিটার মিয়ানমারের ভেতরে স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বাংলাদেশি কিশোর আরাফাত আহত হয়েছে। তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন আর ফ ত উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
লালমাইয়ে পাল্টাপাল্টি জিডি প্রকৌশলী ও সাংবাদিকের
কুমিল্লার লালমাই উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় এক সাংবাদিক গতকাল শনিবার একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
আজ রোববার বিকেলে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম দুটি জিডির তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার। এ ছাড়া তাঁদেরও পরামর্শ দিয়েছি, নিজেরা বিষয়টি সমাধান করে ফেলার জন্য।’
দৈনিক সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার (গতকাল) বিকেলে আমিসহ কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিক উপজেলা কমপ্লেক্সের নতুন ভবন দেখতে যাই। সেখানে দ্বিতীয় তলায় তালাবদ্ধ আটটি কক্ষের দরজায় এলজিইডি লেখা দেখতে পাই। পরে সেখানে উপস্থিত থাকা উপজেলা প্রকৌশলী সাবরীন মাহফুজের কাছে জানতে চাই, তাঁদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট কেউ কক্ষ ভাগ করে (বরাদ্দ) দিয়েছেন কি না? এ প্রশ্ন শুনেই উপজেলা প্রকৌশলী আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন; বলতে থাকেন, “আমি কক্ষ বরাদ্দ কমিটির সদস্যসচিব, এই ভবন আমাদের। আমি ঠিক করব কে কোথায় বসবে।’”
মাসুদ রানার দাবি, উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রকৌশলী। পরে তিনি ওই দিন রাতে নিজের নিরাপত্তার জন্য থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি শুনেছেন, সন্ধ্যায় ওই প্রকৌশলীও তাঁর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মোসা. সাবরীন মাহফুজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি (মাসুদ) হঠাৎ এসে আমাকে উদ্দেশ্যমূলক বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন। এরপরও আমি চেষ্টা করেছি ভালোভাবে তাঁর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। একপর্যায়ে মাসুদ সাহেব আমার অনুমতি না নিয়ে ভিডিও করতে থাকেন। আমি তাঁকে বারবার বলেছি, আপনি আমার অনুমতি ছাড়া এভাবে ভিডিও করতে পারেন না। কিন্তু তিনি ভিডিও করেই গেছেন। আমি একজন নারী অফিসার, নিরাপত্তারও একটি বিষয় থাকে। পরে আমি বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানালেও তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এরপর নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছি।’
আজ বিকেলে এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রি খীসা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যার পর বিষয়টি আমি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। তবে উপজেলা প্রকৌশলী থানায় যাওয়ার বিষয়ে আমাকে কিছুই জানাননি। আমরা বিষয়টির বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’