দেশে ভারতীয় ‘রিপাবলিক বাংলা’ টিভির সম্প্রচার বন্ধে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
Published: 22nd, June 2025 GMT
ভারতীয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ‘রিপাবলিক বাংলা’র বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে এবং দেশের ভেতরে চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধে নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
বাংলাদেশের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ভারতীয় চ্যানেল ‘রিপাবলিক বাংলা’র বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে ও দেশের ভেতরে চ্যানেলটির নিউজ ও কনটেন্ট নিষিদ্ধ ও ব্লক করার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ভারতীয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ‘রিপাবলিক বাংলা’র বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে এবং দেশের ভেতরে চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনকারীর ভাষ্য, স্যাটেলাইট সম্প্রচারের পাশাপাশি ‘রিপাবলিক বাংলা’ চ্যানেল নিউজ, কনটেন্টগুলো ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে থাকে। এই টেলিভিশন চ্যানেল নিয়মিত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ‘প্রোপাগান্ডা’ প্রচার করে যাচ্ছে। চ্যানেলটি ক্রমাগত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সম্প্রচার করছে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলাকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে চট্টগ্রাম বিভাগকে বিচ্ছিন্ন করে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। গুজব ছড়িয়ে চ্যানেলটি দেশে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রিট আবেদনকারীর।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র প বল ক ব
এছাড়াও পড়ুন:
গলা কেটে বিড়াল হত্যা, থানায় জিডি
বগুড়া আদমদীঘিতে গলা কেটে বিড়াল হত্যার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) আদমদিঘী থানায় জিডিটি করেন বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য এমরান হোসেন।
আরো পড়ুন:
স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে হত্যা করে জহুরুলকে: পুলিশ
ভোররাতে মাছ ধরতে ডাকাডাকি, বের হতেই হত্যা
গত সোমবার আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর উনিয়নের দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছ গ্রামে বিড়ালটিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নজরে আসে। ঘটনাটি বিস্তারিত জানার পর তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে জিডি করে।
জিডিতে বলা হয়, গত সোমবার দুপুর একটা থেকে ২টার মধ্যে দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছ গ্রামের মোছা. বুলবুলি (২৬) নামের এক নারী একটি সাদা-কালো পুরুষ বিড়ালকে বটি দিয়ে হত্যা করেন এবং বুক চিরে নারী-ভুঁড়ি বের করে বাড়ির পাশে একটি ধান ক্ষেতে ফেলে দেন। প্রতিবেশী এক নারী বিড়ালটিকে কুড়িয়ে এনে বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আদনান আজাদ জানান, যে কোনো প্রাণীকে হত্যা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে নিষ্ঠুরভাবে বিড়ালটিকে গলা কেটে হত্যা এবং পরে পেট কেটে নাড়ি -ভুঁড়ি বের করে নেওয়া হয়েছে সেটা দেখে মনে হচ্ছে অভিযুক্ত নারী একজন সাইকোপ্যাথ। তিনি যে কোনো সময় মানুষ হত্যা করতে পারবেন।
এই ঘটনার পরে বিড়াল হত্যায় অভিযুক্ত বুলবুলির একটি স্বীকারোক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, তরকারি থেকে নিয়মিত মাছ-মাংস চুরি করে খাওয়ার কারণে ক্রোধের মাথায় মাঠ থেকে বিড়ালটিকে ধরে এনে হত্যা করে নাড়ি-ভুঁড়ি বের করে পুড়িয়ে ফেলেছেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিড়ালের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “জিডির বিষয়ে আদালত থেকে তদন্ত করার জন্য অনুমতি চাওয়া হবে। অনুমতি পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/এনাম/মাসুদ