নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন
Published: 22nd, June 2025 GMT
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি সীমান্ত এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে আরাফাতুল ইসলাম (১৭) নামে এক কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে জামছড়িতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৪৪ নম্বর পিলার সংলগ্ন জিরো লাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত কিশোর জামছড়ি এলাকার খুইল্যা মিয়ার ছেলে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার জানান, আরাফাত তার বাবার সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় বাঁশ সংগ্রহ করার সময় একটি মাইনের ওপর পা পড়ে। পরক্ষণে বিস্ফোরণে তার পা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ উর্মি খাতুনের (৩০) মরদেহ উদ্ধারের অভিযোগে স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক রানাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তবে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের মজমপুর গেট এলাকা থেকে রানাকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
আরো পড়ুন:
সিলেটে ছুকিরাঘাতে মাদরাসা শিক্ষক নিহত
চাঁদপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রিকশাচালক নিহত
এর আগে, শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে হাউজিং এফ ব্লকের একটি ভাড়া বাসা থেকে উর্মির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত উর্মি খাতুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মহিম মন্ডলের মেয়ে। প্রায় ৫ বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রানা খানের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তারা কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এবং সিটি কলেজের সামনে একটি কাপড় ও খাবারের দোকান পরিচালনা করতেন।
নিহতের ভাই আবু সাইদ অভিযোগ করে বলেন, “বিয়ের পর থেকেই রানা মাদকাসক্ত ছিলেন এবং এ কারণে একাধিকবার কারাগারে যান। তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এ থেকেই ঝগড়া-বিবাদের জেরে মারধর ও শ্বাসরোধ করে উর্মিকে হত্যা করা হয়েছে।”
ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা স্বীকার করেছেন, স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহে তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রানা উর্মিকে মারধর করে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তিনি বাইরে থেকে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান।
ঢাকা/কাঞ্চন/মেহেদী